ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট ।। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার শুরু হয়েছে। আজ রোববার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাক্ষাৎকার গ্রহণ শুরু হয়।
বিএনপির মনোনয়ন বোর্ডে রয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
প্রতিদিন দুই পর্ব করে মোট চার দিনে আট পর্বে সম্পন্ন করা হবে এ সাক্ষাৎকার। প্রথম দিন দলের মনোনয়ন বোর্ডের কাছে সাক্ষাৎকার দেবেন রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। রংপুর বিভাগের সাক্ষাৎকার চলবে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। আর দুপুর আড়াইটায় শুরু হবে রাজশাহী বিভাগের সাক্ষাৎকার।
সাক্ষাৎকারের সময়সূচি অনুযায়ী, সোমবার সকাল ৯টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত বরিশাল বিভাগ, দুপুর আড়াইটায় খুলনা বিভাগ, মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগ, দুপুর আড়াইটা থেকে কুমিল্লা ও সিলেট বিভাগ, বুধবার (২১ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর বিভাগ, দুপুর আড়াইটা থেকে ঢাকা বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে ফরম বিক্রি ও জমা শুরু হয় গত ১২ নভেম্বর; যা শেষ হয় গত শুক্রবার রাতে। দলের মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে মোট চার হাজার ৫৮০টি।
মনোনয়নপ্রত্যাশীদের উদ্দেশে দলের পক্ষ থেকে কিছু নির্দেশনা রয়েছে। এ সম্পর্কে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাতের সময় আবেদন ফরম জমাদানের রসিদ অবশ্যই সঙ্গে আনতে হবে। মনোনয়নপ্রত্যাশীরা তাদের সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে আসতে পারবেন না। সমর্থকদের সঙ্গে করে আনলে তা অসদাচরণ বলে গণ্য হবে।
রিজভী আরো বলেন, গুলশান কার্যালয়কে কেন্দ্র করে এর আশপাশে মনোনয়নপ্রত্যাশী ও আমন্ত্রিতরা ছাড়া অন্য কেউ থাকতে পারবেন না। শুধু মহানগর ও জেলাধীন নির্বাচনী এলাকার মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাতের সময় সেই মহানগর ও জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত থাকবেন। সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহসাংগঠনিক সম্পাদকরাও উপস্থিত থাকবেন।
বিএনপি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে পাঁচ হাজার টাকায়। জমার সময় ফরমের সঙ্গে ২৫ হাজার টাকা জামানত হিসেবে দিতে হয় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের।