স্টাফ রিপোর্টার ॥ভোলার তজুমদ্দিনে অসহায় বিধোবা নারীর জমি কেড়ে নেয়ার অইভযোগ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। ভোলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এমন অভিযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্থ্য বিধোবা মহিলা মনোজা খাতুন।
তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের চাঁচড়া গ্রামের অসহায় আওয়ামী লীগ পরিবারের ৭০ বছরের বসতভিটা জোরপূর্বক দখল করার অভিযোগ উঠেছে একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি সামছুল হক মাস্টারের বিরুদ্ধে।
রোববার (৫ জুলাই) ভোলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ তুলে ধরেন মৃত সফিউল্লাহর স্ত্রী মনোজা খাতুন। তিনি জানান, ৪ সন্তান নিয়ে তার স্বামী ও শ্বশুরের ৭০বছরের পৈতিক ৪২ শতাংশ জমিতে বসবাস করছেন। তার স্বামী ৮ বছর আগে মারা গেছেন। হঠাৎ করেই এলাকার এক সময়ের বিএনপি নেতা হালে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতির পদ হাতিয়ে নেয়া সামছুল হক মাস্টার। গত ১জুন চাঁচড়া ২নং ওয়ার্ডের আনন্দবাজার চৌমাথায় ওই জমি জোরপূর্বক দখল করে ঘর উত্তোলন শুরু করে। খবর পেয়ে বাঁধা দিতে যায় বিধবা মহিলাসহ তার সন্তানরা। তবে আওয়ামী লীগ নেতার সন্ত্রাসীরা তাদেরকে মারধোর করে পানিতে ফেলে দেয়। পরবর্তীতে এসব বিষয় নিয়ে তজুমদ্দিন থানায় লিখিত
দেয়। খবর পেয়ে থানার ওসি দারোগা ফরিদ উদ্দিনকে ঘটনাস্থলে পাঠায়। তার সামনেই সন্ত্রাসীরা পুনরায় বিধবা মহিলাসহ তার সন্তানদের উপর হামলা করে। এসময় উপায় না দেখে পুলিশী পাহাড়ায় তাদেরকে বাড়ি পৌছে দেয়া হয় বলে সংবাদ সম্মলেন বলা হয়।
তবে প্রভাবশালী সামছুল হক থানা পুলিশ ম্যানেজ করে উল্টো ছেলেসহ তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে বলে লিখিত অভিযোগে জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে মনোজা খাতুন তার পরিবারকে প্রকৃত আওয়ামী লীগ সমর্থিত পরিবার বলেও দাবি করেন। তিনি ঘটনার সুষ্ঠ তুদন্ত এবং অসহায় বিধবা মহিলা যাতে তার জমি ফিরে পেতে পাড়ে তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃস্টি আকর্ষন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন মনোজা খাতুনের দেবর ইউছুফ সিকদার, চাচা শ্বশুর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদউল্লাহ।
এদিকে সামছুল হক মাস্টার সাংবাদিকদের জানান, তিনি ওই নারীর জমি দখল করেননি। তিনি বলেন, ওই নারীর জমি আমার ভাতিজা তার থেকে ক্রয় করেছেন। ক্রয়কৃত জমিতে তিনি ঘর তোলেন। ওই নারীর কোন জমি নেই বলেও তিনি দাবি করেন।