সোহেব চৌধুরী/ চরফ্যাশন প্রতিনিধি/ভোলা নিউজ২৪ডটনেট ।।ভোলার চরফ্যাশন উপজেলাধীন দক্ষিণ আইচা থানার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ঢালচর ইউনিয়নের ইসলামিয়া মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির ৯ বছরের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আজ বিকেলে দক্ষিণ আইচা থানায় মৎস্য ব্যবসায়ী আবুল কাশেম মাঝির বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা হয়েছে।
মামলার বিবরণ ও এলাকা থেকে নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে ঢালচর ইউনিয়নে ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ও তার সহপাঠী কাশেম মাঝি (৫৮) এর শুটকি মাছের টং ঘরে গেলে তার মুখ চেপে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। চিপসের টাকা দিয়ে তার সহপাঠীকে দোকানে পাঠায়। এ সময় ভিকটিমের ডাকচিৎকারে লোকজন ছুটে আসলে কাশেম মাঝি দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সড়ে পরেন।
শিশুটিকে উদ্ধার করে এলাকাবাসী তার পিতার নিকট পৌঁছে দেয়।
নয় বছরের শিশু ভিকটিমের পিতা নয়ন মিয়া বলেন, তার কন্যা মায়ের কাছে ঘটনার বিবরণ তুলে ধরেন। এতে প্রতীয়মান হয় তার কন্যা ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
এই ঘটনায় ভিকটিমের দাদা তোফাজ্জল বাতান ঢালচর ইউপি চেয়ারম্যান আ. সালাম হাওলাদারকে অবহিত করলে ফয়সালার আশ্বাস দেন এবং কাউকে না জানিয়ে চুপচাপ থাকার কথা বলেন। এদিকে পরিবারের কাছে ভিকটিমকে কাশেম মাঝি ধর্ষণ করেছে বলে মোবাইল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত আবুল কাশেম মাঝি বলেন, শিশুটি শুটকি মাছ নেওয়ার জন্য তার দোকানে আসলে তাকে চিপস কিনে দেই। আমার বিরুদ্ধে শিশু ধর্ষণের অভিযোগ সত্য নয়।
ঢালচর ইউপি চেয়ারম্যান আ. সালাম হাওলাদার বলেন, শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় নাই। কাশেম মাঝি কর্তৃক যৌন হয়রানি হয়েছে বলে খবর পেয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রুহুল আমিন বলেন, ঢালচরে ৯ বছরের শিশু যৌন হয়রানির ঘটনা সত্য হলে সংশ্লিষ্ট দক্ষিন আইচা ওসিকে মামলা নিতে বলেছি।
এ ব্যাপারে দক্ষিন আইচা থানার ওসি মাসুম তালুকদার মুঠোফোনে বলেন ভিকটিমের পিতা নয়ন মিয়া তার শিশু কন্যাকে যৌন হয়রানি করেছে বলে আবুল কাশেম মাঝিকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।