আদিল হোসেন তপু॥ পশ্চিম মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে ভোলায় ৭নং বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ১১’শ চারটি সাইক্লোন সেল্টার খুলে দেয়ার
পাশাপাশি ৯২ টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকায় সকর্তামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে সিপিপি সদস্যরা। ভোলার বিচ্ছিন্ন চর ও নদীর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।
ঘূর্নিঝড় আম্ফান মোকাবেলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতির অংশ হিসাবে ভোলার ২১
চরের ৩ লাখ বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে আনার কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।
উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে নৌ বাহিনী, নৌ পুলিশ, জেলা পুলিশ ও কোস্টগার্ড এ সকল মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে সহায়তা করবে।
একই সাথে সাইক্লোন সেল্টারে আশ্রয় নেয়া মানুষের সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করার
জন্য অতিরিক্ত ৪০০টিসহ সর্বমোট ১১০৪টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেয়া হয়েছে।
ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, ঘূর্নিঝড়ে সাবাইকে সতর্ক করার পাশাপাশি নিরাপদে আসতে সিপিপি ও রেডক্রিসেন্টের ১০ হাজার ২০০ সেচ্চাসেবী উপকূলের
বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং শুরু করেছে।
এছাড়াও আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষদের জন্য ৩ বেলা খাবারের ব্যবস্থা ছাড়াও নগদ টাকা, শুকনো খাবার ও শিশু খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
ঘূর্নিঝড়ের আগে, ঘূর্নিঝড়কারীন সময় ও ঘূর্নিঝড় পরবর্তি এ তিনটি ধাপেই
কাজ করার জন্য সকল প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন।