খালেদা জিয়া আমাদের শত্রু না : কাদের

0
432

ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি বা খালেদা জিয়া আওয়ামী লীগের শত্রু নয় যে তাঁর মামলায় হস্তক্ষেপ করতে হবে।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত যৌথ সভা শেষে কাদের এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা ছাড়াও ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের আরো বলেন, ৮ ফেব্রুয়ারির রায়কে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোনো উস্কানি দেওয়া হবে না। যেকোনো রকম নাশকতা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশে থাকবে দলের নেতা-কর্মীরা।

ওবায়দুল কাদের বলেন. ‘আমাদের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার উস্কানি যেন না দেওয়া হয়। কিন্তু তারা যদি উস্কানি দেয় সেজন্য আমরা সেদিন এবং আজ থেকে আমরা সতর্ক থাকব, সজাগ থাকব।’ তিনি বলেন, ‘সেদিন হাইকোর্টের সামনে প্রিজনভ্যানে হামলার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা পরিস্থিতি মোকাবিলা করবে। প্রয়োজনে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পাশে থাকবে।’

বিচার বিভাগ স্বাধীন বলেই ক্ষমতাসীন দল হওয়া সত্ত্বেও মন্ত্রীরা আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন এবং সংসদ সদস্যরা কারাগারে আছেন বলে জানান কাদের। এছাড়া যে মামলার রায় দেওয়া হবে তা আওয়ামী লীগ আমলে দায়ের করা হয়নি, তাই এই মামলায় সরকারের হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ নেই বলেও দাবি করেন তিনি।

আওয়ামী লীগ নেতা আরো বলেন, ‘আমরা কেন এখানে হস্তক্ষেপ করব? বেগম জিয়া আমাদের শত্রু নয়, বিএনপি আমাদের শত্রু নয়। কিন্তু (তারা) আমাদেরকে শত্রু ভাবে। আমরা তাদের প্রতিপক্ষ ভাবি। শত্রুতাই যদি না করত বঙ্গবন্ধুর নেপথ্যে তাদের প্রতিষ্ঠাতা থাকত না। শত্রুতা যদি না করত তাহলে একুশে আগস্টের মতো জঘন্য, নৃশংস, পাশবিক হত্যাকাণ্ডের নেতৃ্ত্ব উনি দিত না।’

আওয়ামী লীগের চলমান সাংগঠনিক সফর কর্মসূচীতে ইতিবাচক সাড়া মিলছে জানিয়ে কাদের বলেন, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত এই সফর চলমান থাকবে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ঘোষণা করবেন বিশেষ জজ ডা. মো. আখতারুজ্জামান।

দুই কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে এতিম তহবিল নামে নতুন একটি হিসাব খোলা হয় এবং বিদেশ থেকে  সাড়ে চার কোটি টাকা আসে ওই হিসাবে। পরে ওই তহবিল থেকে দুই কোটি ৩৩ লাখ টাকা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে স্থানান্তর করা হয়। অভিযোগ আনা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে সেখান থেকে আসামিরা দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা আত্মসাত করেন। মামলা দায়েরের ১৩ মাস পর ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হারুণ-অর-রশিদ।

LEAVE A REPLY