৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর এই প্রথম কাশ্মীরের সরকারি ভবনগুলি থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো জম্মু কাশ্মীরের নিজস্ব পতাকা। তার বদলে সেখানে টানানো হয়েছে ভারতীয় তিন রঙের পতাকা।
জম্মু কাশ্মীরের প্রশাসন সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জম্মু কাশ্মীরের প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, এবার থেকে কাশ্মীরের সরকারি ভবনগুলিতে ভারতের জাতীয় পতাকাই দেখা যাবে। অন্য কোনও পতাকা নয়।
ইতিমধ্যেই জম্মু কাশ্মীরের নিজস্ব পতাকাগুলি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। গত সপ্তাহ পর্যন্ত এই পতাকাগুলি আটকানো ছিল। রবিবারই কাশ্মীরের পতাকাগুলি খুলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
সাংবিধানিক আইনের বলে আলাদা পতাকা নিয়ে এতদিন কাটিয়েছেন কাশ্মীরিরা। সাংবিধানিক আইনটি প্রত্যাহার করায় অবস্থার পরিবর্তন হয় জম্মু-কাশ্মীরে। সেই সঙ্গে আর বিশেষ পতাকা রইল না।
যে পতাকা এতদিন ভারতের জাতীয় পতাকার সমান মর্যাদা পেত। তবে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের পৃথক পতাকা থেকে গেছে নিজের জায়গাতেই।
ঐতিহাসিক তথ্যে জানা যায়, ভারত-পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পরই দুই দেশের মধ্যে পড়ে তৎকালীন রাজন্য এলাকা কাশ্মীর। পরে পাকিস্তানি হামলা থেকে নিজেদের বাঁচাতে কাশ্মীর রাজ সরাসরি ভারতের অন্তর্ভুক্তিতে সায় দেন। প্রতি আক্রমণে হটে গিয়েছিল পাকিস্তানের হামলাকারীরা। আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপে তৈরি হয় নিয়ন্ত্রণ রেখা। অন্তর্ভুক্তি চুক্তির সঙ্গেই কাশ্মীরের পক্ষে পৃথক পতাকা রাখার বিষয়টিও স্থান পায়। ১৯৫২ সাল থেকে জম্মু-কাশ্মীর সরকার আলাদা পতাকার অধিকারী হয়।
সম্প্রতি সরকারি পদক্ষেপে বিধানসভা বিশিষ্ট কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হয় জম্মু-কাশ্মীর। আর বিধানসভা ব্যতিরেকে কেন্দ্র নিয়ন্ত্রিত এলাকা হয় লাদাখ। জনগোষ্ঠী ও ধর্মের ভিত্তিতে জম্মু হলো হিন্দু-শিখ প্রধান, কাশ্মীর মুসলিম এবং লাদাখ বৌদ্ধ প্রধান এলাকা। তারপরেই সিদ্ধান্ত হয় এবার কাশ্মীরের মাটিতে উড়বে ভারতের জাতীয় পতাকা।
সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে, কলকাতা২৪
