এমপি জ্যাকবের আত্নীয়র কোটিটাকা লোপাট তথ্য ফাঁস করলেন ম্যানেজার

0
200
স্টাফ রির্পোটার,ভোলা নিউজ২৪ডটকম।। চরফ্যাশনর মধুমতি ব্যাংক শাখার ব্যাস্থাপনা পরিচালক  সংবাদ সন্মেলন করে এমপি জ্যাকবের আত্নীয়র মধুুুমতি ব্যাংকের টাকা লোপাট তথ্য ফাঁস করলেন।

চরফ্যাশনের মধুমতি ব্যাংক শাখার ব্যাস্থাপনা পরিচালককে চাকুরি থেকে সাময়িক অভ্যহতি দেয়ার প্রতিবাদে ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে অর্থের গড়মিলের অভিযোগ প্রত্যাহার করে সংবাদ সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার(২০জানুয়ারি) দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাবের হলরুমে এ সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্য সাবেক ব্যাবস্থাপনা সম্পাদক মো: রেজাউল করিম এমন দাবী জানান। এসময় তিনি তার নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ও স্ব-পদ ফিরে পাওয়ার পাশাপাশি নিজেকে নির্দোশ দাবি করেন। তিনি বলেন, মধুমতি ব্যাংকের ভোলার চরফ্যাশন শাখার ব্যাবস্থাপনা পরিচালক পদে দু বছর যাবত পদায়ন হলেও এর সকল কার্যক্রম স্থানীয় সংসদ সদস্যের ভাই জাহিদুল
ইসলাম শুভ, তার ভাতিজা মধুমতি ব্যাংকের চরফাশন শাখা অফিসার তরিকুল ইসলাম শরিফ নিয়ন্তন করতো। না বলেই ব্যাংকের ক্যাশ থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়ে কোথায় খরচ করতো বা কাকে দেয়া হতো তা জনলে চটে উঠতেন। এবং রাতের আধারে শত শত কোটি অবৈধ টাকা ব্যাংকের ভোল্টে রাখা হতো । তা জনতে চাওয়া হলে তার উপর প্রেশার করা হতো বলে অভিযোগ করে রেজাউল করিম।
রেজাউল করিম আরো বলেন, তার উপর আনিত ১২টি পে-অর্ডারের মাধ্যমে আট কোটি ৯৫ লক্ষ টাকার গড়মিলের অর্থের ছয় কোটি ১০ লক্ষ টাকা জাহিদুল ইসলাম শুভ তার বিকাশ ব্যাবসার জন্য সকালে নিয়ে যায় এবং ২ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা শরীফ স্থানীয় সংসদ আবদুল্লাহ আল ইসলামের ব্যাবসার জন্য নিয়ে আর ফেরত দেননি বলে অভিযোগ করেন। তারা সব সময়ই এমন টাকা নিয়ে যেতেন আবার বিকেলে আথবা পরে দিয়ে যেতেন। তবে এবার আর ফেরত দিতে গড়িমসি করেন। এদিকে জাহিদুল ইসলাম ও শরীফ ব্যাংকের ভল্টের টাকা গ্রামীন এন্টারপ্রাইজ, চার দেয়াল ডেকোরেটর, কায়িফ এন্টারপ্রাইজ, মো: জাহিদুল ইসলাম, উপকূল ব্রিকস, মিলন

ট্রেডার্স, মা ট্রেডার্স, উপকূল কনস্ট্রাকশন,রুহি ফার্নিচারসহ একাধিক একাউন্টের মাধ্যমে প্রায় হাজারো কোটি টাকা অনৈতিক লেনদেন করে তারা এসব অর্থ আত্মসাত করার অভিযোগ করেন রেজাউল করিম। তারা মধুমতি ব্যাংক চরফ্যাশন শাখাকে পারিবারিক অবৈধ লেনদেনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যাবহার করেন।

উল্লেখ, ভোলার বাসিন্ধা রেজাউল করিম মধুমতি ব্যাংক ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা শাখায় ২০১৫ সালের ২৩ নভেম্বর থেকে কর্মরত থাকার পর চলতি বছরের ১৪ই জানুয়ারী মধুমতি ব্যাংকের এক অডিট এন্ড ইন্সপেকশনে ১২টি পে-অর্ডারের বিপরিতে তার বিরুদ্ধে ৮ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা গড়মিলের অভিযোগ তোলেন। বলা হয় বিভিন্ন ব্যাংকের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করা হলেও তা পরে ভোল্টে জমা রাখেননি তিনি।
তবে রেজাউল করিম বলেন, এসব টাকা তিনি উত্তোলন করে জাহিদুল ইসলামকে ও শরীফকে দিয়েছেন । তারা তা ফেরত দেন নি। পরে জাহিদুল ইসলাম ৪৫ লক্ষ টাকার একটি চেক দিলেও তার একাউন্টে অর্থ না থাকায় তো ক্যাশ করা সম্বভ হয়নি।

LEAVE A REPLY