দিঘলদীর আজগর মেম্বরের বিরুদ্ধে শালিসের নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ

0
489

স্টাফ রিপোর্টার।। ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আজগর আলী মুন্সীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাধারণ জনগণ । সালিশ বিচারের নামে টাকা নিচ্ছে নিয়মিত। টাকা না দিলে সঠিক বিচার মিলছে না সসাধারণ জনগণের। নিজেকে ঐ ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান পরিচয়ে চলছে নানা কুকর্ম। বিচারের নামে সাধারণ মানুষকে প্রতিনিয়ত হয়রানি আর অর্থ হাতিয়ে নেয়াই তার প্রধান কাজ।

সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, আজগর আলী মুন্সী জমি-জমির কাগজপত্রে নিজে পারদর্শী থাকায় ভুক্তভুগীরা তার কাছে গেলে সঠিক কাগজপত্র বুঝিয়ে দিবেন এমনটা আশার বাণীতে সাধারণত। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লিয়াকত মুনসুর বেশিরভাগই জমি সংক্রান্ত দায়িত্ব আজগরের উপর দেন। এ কারনেই আজগর মেম্বার আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন। চেয়ারম্যানের নাম ভাঙিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে।

ওই ইউনিয়নের ভুক্তভুগী নবী বাড়ির নুর নবী জানান, টাকার বিনিময় আজগর মেম্বার সালিশ বিচার করেন। বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে। আজগর আলী মুন্সী (আজগর মেম্বার) উওর দিঘলদী ইউনিয়নে মুন্সী বাড়ির ছেলে।তার বাড়ি উওর দিঘলদী ইউনিয়নে লাঠিয়াল বাড়ি নামে পরিচিত। এলাকায় আজগর মেম্বার নেতৃত্বে একটি কেডার বাহিনী চলে। তারা নানা অপকর্মের সাথে জড়িত। আজগর মেম্বার এর ছায়া তলে তার বাহিনীর কেউ কেউ আবার মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত বলেও অভিযোগ রয়েছে।

উওর দিঘলদী ইউনিয়নে ৭নং ওয়ার্ড মেহের বাড়ির ইউনুস মেহের জানান, গত কয়েক মাস আগে গনি মেহের ও আজগর মেম্বার মিলে ইউনুসকে মারধর করেন। আমার নিজ সম্পত্তি টাকা খেয়ে অন্যকে দেয়ার জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন আজগর মেম্বার। আমার কাছে জমিজমার ঝামেলা মিটানোর জন্য ৫০ হাজার টাকা চাইছে আজগর মেম্বার। আমি দিতে পারিনাই বলে আজ আমার এই দশা। তার কথা না শুনলে এবং দাবিকৃত টাকা তাকে দিতে পারিনি বলে লোকজন দিয়ে আমাদের উপর হামলা করেন। এই মেম্বারের বিচার দাবি করেন তিনি।

এছাড়াও আনছার মাতাব্বর বাড়ির মানিক মাতাব্বর, ফারুকের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন আজগর মেম্বার। এরকমের অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে অসাধু মেম্বার আজগর আলী মুন্সীর বিরুদ্ধে। ভোলার প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের কাছে তার বিরুদ্ধে একাধিকবার বিচার দিয়েই কোনো উপায় পায়নি এসকল ভুক্তভুগীরা। এলাকার সাধারণ জনতা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

এবিষয় আজগর মেম্বার এর মুঠোফোন একাধিকবার ফোন করা হলেও রিং হওয়ার পরেও তিনি ফোন রিসিফ না করায় তার বক্তব্য দেয়া সম্ভব হযনি। যি ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করলে তিনি বলেন,তার ফোন রিসিফ করছে না।

ইউপি চেয়ারম্যান মো: মনসুল আহমেদ বলেন,মালিসীতে গেলে হযতো কিছু পায়। জমিজমার কাগজপত্র ভালো বুঝে। সব ঘটনা সত্য নয়। একটা ঘটনা ঘটেছে। পিটাইছে,এঘটনায় আমরা অনুতপ্ত। ভালো ধরনের মারামারি হয়েছে। বেশ কিছু মানুষ আহত হয়েছে। পিটানোর কথা স্বিকার করেছে। টাকা পয়সা নেয়ার ঘটনা সত্য নয়। তুচ্ছা ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারি হয়। জমিজমা নিয়ে দন্দ। ইউনুচদের সাথে দীর্যদিন ধরেই বিরোধ চলছে।

তার বিষয় জেলা প্রশাসক,পলিশ সুপারসহ বিভিন্ন স্থানে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না অসহায় মানষেরা।

LEAVE A REPLY