ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট ।। ভোলা থেকে ফরিদপুর ও মাগুরায় পাচারের পথে প্রায় ৬০টন সরকারি চালবোঝাই তিনটি ট্রাক আটক করে পুলিশ। গতকাল সোমবার বিকেলে পুলিশ ট্রাক তিনটি সন্দেহজনক হওয়ায় আটক করে ভোলা থানায় নিয়ে যায়। পরে আবার ছেরে দেয়া হয়েছে।
থানা পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,সোমবার দুপুরে ভোলার দৌলতখান উপজেলার খাদ্য গুদাম থেকে তিনটি ট্রাকে করে প্রায় ৬০টন চাল ভোলা সদর হয়ে ফরিদপুর ও মাগুরায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বিকালে পুলিশ ওই চালের ট্রাক তিনটি ভোলা বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে আটক করে। খবর পেয়ে ভোলার সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে তা ভোলা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ট্রাক তিনটির একটি ফরিদপুর ও দুইটি মাগুরা চাল নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। এখবর দ্রুত সর্বত্র ছড়িয়ে পরলে সবাই খোজ-খবর নেয়া শুরু করে। পাচারকারী ব্যবসায়ীরা ততপর হয়ে উঠে। তারা শুরু করে দৌড়ঝাপ। গভীর রাত পর্যন্ত চলে ম্যানেজ প্রক্রিয়া। যার সমাপ্ত হয় সকালে।
এদিকে আটক তিন ট্রাক চাল নিয়ে সন্ধ্যা থেকে রাত অবধি চলে নাটকিয়তা। রাত পর্যন্ত ওই চালের বৈধতা নিশ্চিত না হওয়ায় পুলিশ চালসহ ট্রাক তিনটি জব্দ করে থানায় রাখে। শেষ পর্যন্ত চাউলসহ ট্রাক পুলিশ লাইনে নেয়া হয় মানুষের চোখ এরানোর জন্য।
অভিযোগ রয়েছে, ভোলার দৌলতখান উপজেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পের এসব চাল অবৈধভাবে ভোলা জেলার বাইরে বিভিন্ন স্থানে পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিলো। ৫টি ট্রাক থাকলেও ২টি যে কোন ভাবেই হোক ধরাছোয়ার বাইরে থেকে গেছে। থানায় আনা হয়েছে ৩টি। যা আবার আজ ২২মে দুপুরে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
ভোলা থানা ওসি মো: ছগির মিঞা বলেন,‘আটক চাল সরকারি। তবে এসব চাল কার-তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। রাতে ওই চাল থানায় পুলিশের জিম্মায় ছিলো।
এদিকে,আজ মঙ্গলবার ভোলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হালিম বলেন,‘আশ্রয়ণ প্রকল্পের নীতিমালা অনুয়ায়ী এই চাল উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণ করতে হবে। কিন্তু সরকারি এ চাল ভোলা জেলার বাইরে নেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। তাই আটক করা হয়। ভোলা জেলার বাইরে এ চাল যাতে যেতে না পারে তার জন্য স্ট্যাম্পে মুচলেখা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
অপরদিকে এবিষয়টি টক অবদ্যা টাউন হলেও প্রশাসনের টনক নড়েনি। চাউল ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় তীব্র আলোচনা আর সমালোচনা হচ্ছে ভোলায়। ভোলা খালপাড়ের কতিপয় চাউল ব্য্সায়ীর কারনে সকল ব্যবসায়ীর দুর্নাম হওয়ায় ঐসব ব্যবসায়ীদের মাঝে ক্ষোভের সৃস্টি হয়েছে।