ভোলায় ঝড়ে নৌকা ডুবিতে নিহত-১ ॥ ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

0
771

এম শাহরিয়ার জিলন, ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট :ভোলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কাল বৈশাখী ঝড়ে অন্তত ৫ শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত ও নৌকা ডুবিতে এক জেলে নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অনন্ত ৩০জন। মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরের পর এ ঝড়ে লালমোহন, মনপুরা ও তজুমদ্দিনে এসব ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নিহতের নাম আবদুস শুক্কুর (২২)। তার বাড়ি যশোর জেলায় বলে জানা গেছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, আকস্মিক ঘুর্ণিঝড়ে লালমোহন ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ওই ঝড়ে পৌর এলাকার লালমোহন কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মায়ানগর নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আব্দুল ওহাব মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পূর্ব মহেশখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব রমাগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের টিনের ঘর ভেঙ্গে পড়ে ও ওয়াল সেড ভবনের টিনের চালা উড়ে বিধ্বস্ত হয়। এ সময় কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র আব্দুল্লাহ, যুগল চন্দ্র শীল, মঈনুল ইসলাম, মাহাদী, মিতা মজুমদার, ইমরান, মারুপ, নাঈমুল, কমল কৃষ্ণ, পারভেজ ও মায়ানগর নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র শান্ত, হৃদয়, রিয়াজ, শুভ আহত হয়। লালমোহন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী ইমা হক, চরভূতা ১নং ওয়ার্ডের মাসুদ (৪৫), নয়ানীগ্রামের তাজু আহত হয়।
এ ছাড়া উপজেলার করিম রোড এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের খালপাড়ের পৌর এলাকা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে অন্তত ৩০০ শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত হয় বলে লালমোহন উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন আহমেদ জানান। তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ঘরের জন্য তালিকা করে প্রত্যেকের জন্য ২ বান্ডিল ডেউ টিন, ২০ কেজি চাল ও নগদ ৬ হাজার টাকা বিতরণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুল হাসান রুমি জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে। এ ছাড়া স্বরুপকাঠি থেকে পাঠকাঠি নিয়ে ভোলার লালমোহনের ফরাজগঞ্জের উদ্দেশ্যে আসা একটি নৌকা তেঁতুলিয়া নদীতে ডুবে আব্দুস শুকুর (২২) নিহত হয়। তার বাড়ি যশোর।
অপরদিকে, মনপুরায় হঠাৎ দুই ঘন্টাব্যাপি কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার একটি মহিলা মাদ্রাসাসহ ৪টি ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ী ক্ষতি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঝড়ে সিমেন্ট বোঝাই আল্লাহর দান কার্গো কাত হয়ে পড়ে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার সিমেন্টের ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও রবিশস্যের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়। এদিকে উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন চরনিজাম, কলাতলীর চর ও কাজীর চরে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক মোঃ মাসুদ আলম সিদ্দিক জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরীর জন্য স্ব স্ব এলাকার ইউএনওদেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেককে ২ বান্ডিল করে ডেউ টিন, ২০ কেজি চাল ও নগদ ৬ হাজার টাকা করে বিতরণ করা হবে।

 

LEAVE A REPLY