সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রিয় নেতা দ্বীপবন্ধু আলহাজ্ব নুরন্নবী চৌধুরি সাওন এম পির কর্মকান্ড তুলে ধরছেন হাজারো কর্মী তার মধ্যে একজন:এপিএস ইমাম হোসেন রাকিব

0
1818

অমি আহামেদ,ভোলা নিউজ২৪ ডটনেট:প্রজন্মের রাজনীতির রোল মডেল দ্বীপবন্ধু আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনঃ
রাজনীতি কারো পৈত্রিক সম্পতি নয়, রাজনীতিতে জনগনই প্রকৃত ক্ষমতার মালিক। একজন রাজনৈতিক নেতা শুধু জনগনের সেবক মাত্র। একটু পেছনের দিকে যাই

 

১৯৮৬ সাল থেকে ২০০৮ সাল এই ২২ বছর লালমোহন তজুমদ্দিন ছিল এক ব্যক্তির শাসন, এখানে জনগনের রায় কখনো প্রতিফলিত হয়নি। একজন ব্যক্তি এখানে কিছু গডফাদার নিয়ে একটি পলিটিকাল সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিলেন। এই সিন্ডিকেটই তাকে সব নির্বাচনে জিতিয়ে এনেছে নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্র দখল করে।

এই বাইশ বছর লালমোহন তজুমদ্দিনের পাঁচলক্ষ মানুষ ছিল কার্যত বন্দী। এখানে ছিলনা কোন ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন। হত্যা, ধর্ষন, চাঁদাবাজি, জবরদখল ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। যার কারনে গত ২২ বছর এই জনপদকে সারা বাংলাদেশ চিনতো মূলত সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে। সারা বাংলার মানুষ লালমোহন তজুমদ্দিনের নাম শুনলেই বলতো চাঁদাবাজ ও ধর্ষক তৈরীর কারখানা। যার মূল কারিগর ছিলেন মেজর হাফিজ এন্ড কোম্পানি।

অত্যাচার, নিপীড়ন ও সন্ত্রসের কারনে এখানে জীবনযাত্রা যখন নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছিল, ঠিক সেই সময় পূর্ব দিগন্তের লাল সূর্যের মতো লালমোহনের রাজনীতিতে উদয় হয়েছিল এক সূর্যসন্তানের।

২০১০সালের ২৪ শে এপ্রিল এক ভোট বিপ্লবের উপনির্বাচনে এই সূর্যসন্তান নৌকা প্রতীক নিয়ে পঞ্চাশ হাজারের বেশী ভোটের ব্যবধানে বিএনপির মেজর হাফিজকে পরাজিত করে ২২ বছরের গোলামীর জিঞ্জির থেকে লালমোহন তজুমদ্দিনের পাঁচলক্ষ মানুষকে মুক্তি দিয়েছিলেন। সেই থেকে লালমোহনে নতুন দিনের শুরু।

যেই জনপদকে এক সময় সারা দেশের মানুষ জানতো সন্ত্রাসের জনপদ হিসাবে, সেই জনপদকে আজ সারা দেশের মানুষ জানে শান্তি, উন্নয়ন ও অগ্রগতির জনপদ হিসেবে। লালমোহন তজুমদ্দিন সারা বাংলাদেশে আজ উন্নয়নের রোল মডেল উপজেলা হিসাবে পরিচিত। মাত্র সাতবছরে বদলে গেছে এই জনপদের জীবনযাত্রার মান। বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়নের মহাসড়কে আজ লালমোহন তজুমদ্দিন।

লালমোহন তজুমদ্দিনে আজ শান্তির সুবাতাস বইছে। এখানে আজ দারুন সামাজিক সম্প্রীতি বিরাজ করছে।এখানে আজ সবদলের সবমতের মানুষ বাস করছে। এখানে আজ কোন রাজনৈতিক মামলা হামলা নেই। লালমোহন তজুমদ্দিন আজ সম্পূর্ণ সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদকমুক্ত। প্রিয় নেতা সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষনা করেছেন।

লালমোহনে আজ কোন সাঁকো নেই, কোন কাঁচা রাস্তা নেই। এই জনপদের ৮০% এলাকা বিদ্যুতের আওতায় চলে এসেছে। ২০১৮সালের মধ্যে ১০০%এলাকা বিদ্যুতের আওতায় চলে আসবে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ডিজিটাল পার্ক সজীব ওয়াজেদ ডিজিটাল পার্ক এই লালমোহনে প্রতিষ্ঠা করেছেন দ্বীপবন্ধু।

লালমোহন তজুমদ্দিনে মেঘনার ভাঙন ঠেকাতে ৫৮০কোটি টাকার ব্লকের কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। অতীতের যেকোন সময়ের চাইতে লালমোহন তজুমদ্দিন আওয়ামীলীগ আজ অনেক বেশী শক্তিশালী ও সুসংগঠিত। লালমোহন আজ অনেকটা গোপালগঞ্জ আওয়ামীলীগ এর মতো শক্ত ঘাঁটি হতে যাচ্ছে।

দলমত নির্বিশেষে সবাইকে এক কাতারে নিয়ে এসেছেন দ্বীপবন্ধু আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন। লালমোহন তজুমদ্দিনের বৃহৎ উন্নয়নের স্বার্থে সবার প্রতি বন্ধুত্বের ও ঐক্যের হাত বাড়িয়েছেন। সবাই প্রিয়নেতার ডাকে সাড়া দিয়ে তার নেতৃত্বের পতাকাতলে এসে দাড়িয়েছে।

গত সাতবছরে লালমোহন তজুমদ্দিনে এমন কোন মসজিদ, মন্দির ও এতিমখানা নাই যেখানে দ্বীপবন্ধু আর্থিক সাহায্য করেননি। গত সাতবছরে সকল মসজিদ মন্দিরে কোটি কোটি টাকার ব্যক্তিগত সাহায্য করেছেন।

গত সাতবছরে লালমোহন তজুমদ্দিনের দলীয় যত নেতাকর্মী অসুস্থ হয়ে ঢাকা গিয়েছেন, সবার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন প্রিয়নেতা। দলীয় ত্যাগী নেতাদের সবসময় খোঁজখবর নিয়েছেন, বিভিন্ন রকমের আর্থিক সাহায্য করেছেন। লালমোহন উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্ষীয়ান নেতা ও বিপ্লবী সাধারন সম্পাদক শ্রদ্ধেয় জনাব আলী রেজা মিয়াকে নিজ অর্থায়নে ২০লক্ষ টাকা দিয়ে সুন্দর একটি বাড়ী করে দিচ্ছেন প্রিয়নেতা যা সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে ইতিমধ্যে।

গত সাতবছরে এই জনপদের শতশত গরীব মেধাবী ছাত্রদের বিনা পয়সায় চাকুরী দিয়েছেন, এই জপদের শতশত কন্যাদায়গ্রস্ত পিতাকে কন্যার বিয়ের জন্য আর্থিক সাহায্য করেছেন। গত সাতবছরে বিশ্ব এজতেমার মুসল্লীদের জন্য নিজ খরচে লালমোহন ও তজুমদ্দিন থেকে লঞ্চের ব্যবস্থা করেছেন। গত সাতবছরে প্রতিটি ঈদে এলাকার অসহায় গরিব মানুষদের কোটিকোটি টাকার যাকাত প্রদান করেছেন, অথচ মেজর হাফিজ ২২বছর এমপি ছিলেন কিন্তু জীবনে এই এলাকায় যাকাত দেননাই।

এইসব মানবীয় গুনাবলীর জন্য লালমোহন তজুমদ্দিনের উন্নয়নের বরপুত্র, লালমোহন তজুমদ্দিনের পাঁচলক্ষ মানুষের আরাধনার স্বপ্নপুরুষ, জননেত্রী শেখ হাসিনার চেতনার শিখা অনির্বাণ, দক্ষিন এশিয়ার অন্যতম সেরা যুবনেতা, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, লালমোহন উপজেলা আওয়ামীলীগ এর বিপ্লবী সভাপতি দ্বীপবন্ধু আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপি আজ শুধু দক্ষিনবঙ্গের নয়, সারা বাংলাদেশের রাজনীতিতে শান্তি, উন্নয়ন ও অগ্রগতির এক জীবন্ত রোলমডেল ।

লালমোহন তজুমদ্দিনের ৯০% মানুষ আজ প্রিয়নেতার প্রতি আস্থাশীল, প্রিয়নেতাকে বিশ্বাস করে। আগামী নির্বাচনে প্রিয়নেতাকে তৃতীয়বারের মত নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে বিপুল ব্যবধানে বিজয়ী করতে এখানকার ৯০% মানুষ আজ সংকল্পবদ্ধ।

দ্বীপবন্ধু আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার। প্রিয়নেতার কারনে আজ সারা বাংলায় লালমোহন কে একনামে সবাই চেনে। বাংলাদেশের একমাত্র ডিজিটাল পার্ক, সজীব ওয়াজেদ ডিজিটাল পার্ক করে ইতিমধ্যে সারা বাংলাদেশে আলোড়ন সৃষ্ট করেছেন প্রিয়নেতা ।

শান্তি, উন্নয়ন ও অগ্রগতির রাজনীতি করে প্রিয়নেতা অল্প সময়ের মধ্যে আজ বাংলাদেশের রাজনীতর রোলমডেল । প্রিয়নেতা আপনাকে জানাই শত স্যালুট ।

LEAVE A REPLY