মোঃ আফজাল হোসেন ॥ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, আমি মনে করি বিএনপি যদি নির্বাচন না করে তাদের আরেকটি ভুল হবে। যেমন ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন করে নাই। সে নির্বাচনের আগে ৫টি সিটি করপোরেশনে বিজয়ী হয়েছিল বিএনপি। বিজয়ী আমেজ নিয়ে তারা ২০১৪ সালের নির্বাচন করতে পারতো। ধারণা জম্মেছিল তারা নির্বাচন না করলে নির্বাচন হবে না। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিচক্ষণ ও দৃঢ়। তিনি নির্বাচন করেছেন এ কারণে যে, নির্বাচন করা না গেলে দেশে তৃতীয় শক্তি ক্ষমতা দখল করবে। এটা তিনি চাননি। তিনি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন। বিএনপির ধারণা ছিল নির্বাচন হবে না। তাদের সে ধারণা মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে। বিএনপি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের নেত্রীর কথা বলে বড় কোন আন্দোলণে যাবে না। কর্মীদেরকে তারা স্বাভাবিক অবস্থায় রাখতে চায় এটা ভালো সিদ্ধান্ত। কারণ অরাজকতা সৃষ্টি করে তাদের লাভ নাই। বিগত দিনের সহিংস কর্মকা-ের কথা উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, জ্বালাও পোড়াও করে তাদের লাভ হয়নি। যার কারণে তারা উপলদ্ধি করেছে এসব করে কোন লাভ হবে না। সুতরাং তাদের কাজ আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা। বিএনপির দলীয় প্রধান যদি জেলেও থাকেন তাহলে নির্বাচন করতে কোন অসুবিধা নেই বলে মনে করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন নির্বাচন করবে ধানের শীষ,নৌকা আর লাঙ্গল। বিএনপির চেয়ারপারসনের বক্তব্য উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন যেখানে থাকিনা কেন আপনারা আপনাদের কাজ করে যাবেন। সুতরাং আগামী নির্বাচন অংশ গ্রহণ মুলক হবে বলে তোফায়েল আহমেদ মনে করেন। গতকাল শনিবার ভোলার উপশহর বাংলাবাজারে স্বাধীনতা জাদুঘর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন। এসময় মন্ত্রী আরো বলেন,গত ৮ ফেব্রয়ারি রবিশালের জনসভায় বিছিন্ন দ্বীপকে মুল ভুখন্ডের সাথে সংযুক্ত করার জন্য ভোলা-বরিশাল ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি নিজে ম্যাপ দেখে একটা জায়গা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। ভেদুরিয়া থেকে লাহারহাট পর্যন্ত ব্রিজ হবে। এটা ভোলার জন্য ঐতিহাসিক ঘটনা। এ জন্য তোফায়েল আহমেদ প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিনিয়োগ বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান এম.মোকাম্মেল হক,বিশিষ্ট শিল্পপতি মীর নাসির হোসেন, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত,ভোলা জেলা প্রশাসক মোহা.সেলিম উদ্দিন,পুলিশ সুপার মোঃ মোকতার হোসেন,জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি হামিদুল হক বাহালুল,মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির,সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লবসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
