ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট :জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মীর মোশারেফ হোসেনকে (রাজীব মীর) বরখাস্তের আদেশ কেন বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি তার জ্যেষ্ঠতা অনুযায়ী বকেয়া সব বেতন-সুবিধাসহ তাকে কেন স্বপদে পুনর্বহাল করা হবে না জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়র উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ওই শিক্ষকের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহদীন মালিক। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এম মঞ্জুর আলম ও মো. তায়্যিব-উল-ইসলাম সৌরভ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আলামিন সরকার।
তার আইনজীবী সাংবাদিকদের জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অসদাচরণ, নৈতিক স্খলন, কর্তব্যে অবহেলাসহ অপেশাদারি নানা অভিযোগের ভিত্তিতে গত বছরের ১০ আগস্ট এই অধ্যাপককে বরখাস্ত করে। এসব অভিযোগ তদন্তে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে এ তদন্ত কমিটি যে প্রতিবেদন দেয় তার কোনো অনুলিপি রিটকারীকে সরবরাহ না করে অর্থাৎ রিটকারীকে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সাক্ষ্য-প্রমাণ সম্পর্কে না জানিয়েই তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়। অর্থাৎ আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ না দিয়েই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে, যা বেআইনি ও অবৈধ।
বরখাস্তের আদেশটি চ্যালেঞ্জ করে গত রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদন করেন সহযোগী অধ্যাপক মীর মোশারেফ হোসেন। মঙ্গলবার সেটির শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।