রোগী আটকে টাকা আদায় রোধে আইন হচ্ছে!

0
380

ভোলা নিউজ ২৪ ডট নেট : স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, রাজধানীসহ দেশের বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টের নামে হাসপাতালে আটকে রেখে লাখ লাখ টাকা আদায় ও নানা ধরনের হয়রানি ঠেকাতে একটি যুগোপযোগী আইন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এটা হলে অনেক কিছু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

রাজধানীসহ দেশের বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টের নামে হাসপাতালে আটকে রেখে লাখ লাখ টাকা আদায় ও নানা ধরনের হয়রানি হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের জাতীয় পার্টির এমপি বেগম নূর-ই হাসনা লিলি চৌধুরীর নোটিশের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে সরকারি হাসপাতাল আছে। তবে এত জনসংখ্যাকে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হয় না। এ কারণে বেসরকারি হাসপাতাল গড়ে উঠছে। আমি চার বছরে দেখেছি অনেক বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীকে আটকে রেখে চিকিৎসা দিয়েছেন। আমি অনেককে রক্ষাও করেছি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রোগীদের জিম্মি করা একটি অপরাধ। এটা অমানবিক। এ ধরনের অভিযোগে অনেক হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালের লাইসেন্স দিয়েছি তার মানে এই নয় যে, অমানবিক কাজ করবেন। এ কারণে আইন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

একই এমপির রোগীর জন্য হেলথ ইন্স্যুরেন্স করা হবে কি না। এর জবাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল, মধুপুর ও কালিহাতীতে পরীক্ষামূলকভাবে বিদেশি অর্থায়নে হেলথ কার্ড দিয়ে চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে এটা দেশের অন্যান্য এলাকায়ও চিকিৎসাসেবা দেয়া হবে।

এদিকে নোটিশে বলা হয়েছে, বর্তমান সরকার দেশের জনগণের সব বিষয়ে লক্ষ রেখে কাজ করে চলেছে। স্বাস্থ্য খাত একটি জরুরি এবং জীবন রক্ষার জন্য জরুরি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে স্বাস্থ্যমন্ত্রী অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। দেশে নতুন হাসপাতাল স্থাপন ও সরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় দেশের বড় বড় স্বনামধন্য হাসপাতালসহ বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভর্তি হলে হাসপাতালে সেবার পরিবর্তে তারা কীভাবে অধিক পরিমাণ টাকা পাওয়া যায় সেদিকে তাদের লক্ষ থাকে বেশি।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীকে আইসিইউতে রেখে লাইফ সাপোর্টের নামে দিনের পর দিন রোগীকে রেখে দেয়। রোগীর স্বজনদের রোগী দেখতে পর্যন্ত দেয় না। দেখা যায় রোগী কয়েক দিন আগেই মারা গিয়েছে। এ বিষয়টি প্রায়ই পত্রিকায় লক্ষ করা যায়।

নোটিশে বলা হয়েছে, একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের যদি এ ধরনের সেবা প্রদান করে তাহলে দেশের মানুষ কীভাবে চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি আস্থা পাবে। এ ধরনের কার্যকলাপের জন্য দেশের বেশির ভাগ রোগী বিদেশে পাড়ি দিচ্ছে। দেশের হাসপাতালগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

LEAVE A REPLY