ছিনতাই এড়াতে দল বেঁধে চলছেন সাইক্লিস্টরা

0
338

ভোলা নিউজ ২৪ডটনেট : খিলক্ষেত থানা থেকে বিমানবন্দর মোড় পর্যন্ত পথটুকু এখন আর কোনো সাইকেলচালক একাকী যাতায়াত করেন না। ছিনতাইকারীদের ভয়ে তাঁরা চলেন দল বেঁধে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারস্থ হয়েও কোনো প্রতিকার না পেয়ে নিজেদের নিরাপত্তায় এই উদ্যোগ তাঁরা নিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা ব্যবহার করছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুককে। ‘ডার্ক কমিউটার’ নামে একটি গ্রুপ খুলে সেখানে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করছেন। এরপর দল বেঁধে পাড়ি দিচ্ছেন পথটুকু।

প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ এই এলাকায় নিয়মিত বিরতিতে ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছিলেন সাইকেলচালকেরা। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার তৎপরতার মধ্যেই দীর্ঘদিন ধরে এ ঘটনা ঘটছিল। পথটুকু পাড়ি দিতে গিয়ে রক্তাক্ত হামলার শিকারও হয়েছেন অনেকে। ভুক্তভোগী সাইক্লিস্টরা জানান, সন্ধ্যার পর ব্যস্ত এই সড়কে ঘটে ছিনতাইয়ের ঘটনা।

‘নিরাপদ থাকুন, দল বেঁধে যাতায়াত করুন’ স্লোগান নিয়ে চালু হয়েছে ‘ডার্ক কমিউটার’ গ্রুপটি। নাফিস ইকবাল নামে গাজীপুরের এক তরুণ গ্রুপটি খোলেন। এরপর এর সঙ্গে যুক্ত হয় উত্তরা ও এর আশপাশের এলাকার সাইক্লিস্টদের গ্রুপ ‘সাইক্লিস্ট ওয়ান’। ১৩ ডিসেম্বর থেকে চালু হওয়া এই গ্রুপটির সদস্যসংখ্যা গতকাল রাত পর্যন্ত ছিল ৯৭৭।

নাফিস ইকবাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য পাস করে বেরিয়েছেন। গত বছরের শেষের দিকে ছিনতাইকারীদের হামলার মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। গ্রুপটি চালু করার বিষয়ে নাফিস প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কার্যকর কিছু হয়নি। সাইকেলচালকেরা ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেনই। গ্রুপটির মাধ্যমে এই পথে যাতায়াতকারী সাইকেলচালকদের একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়েছে। নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে এখন দল বেঁধে যাতায়াত করতে পারছেন তাঁরা।

সাইকেলচালকেরা এই পথে চলাচল করতে খিলক্ষেতের রাজউক ট্রেড সেন্টার, বিমানবন্দরের ট্রাফিক পুলিশ বক্স এবং শেওড়া পুলিশ বক্সের সামনে একত্র হচ্ছেন। সন্ধ্যা ছয়টা, সাড়ে ছয়টা, সাতটা, সাড়ে সাতটা, আটটা এবং সাড়ে আটটা এই সময়গুলো তাঁদের মিলিত হওয়ার সূচি। তবে এই সময়সীমার বাইরেও কেউ যাতায়াত করলে গ্রুপে আগে পোস্ট দিচ্ছেন। তখন ওই পথে যাতায়াতকারী অন্য সাইকেলচালকেরাও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর একসঙ্গে রওনা হন।

স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ‘ডার্ক কমিউটার’ গ্রুপের একজন অ্যাডমিন শামিনুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গ্রুপটি গঠনের পর তাঁরা অভাবনীয় সাড়া পেয়েছেন।

LEAVE A REPLY