মোঃ আফজাল হোসেন :: ভোলার চরফ্যাশনে ইউপি নির্বাচনে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে প্রচারনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষে নারীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতদেকে চরফ্যাশন,ভোলা ও বরিশালে ভর্তি করা হয়েছে।
থানা পুলিশ এবং আহতরা জানান,ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট থানাধীন বিচ্ছিন্ন ইউনিয়ন মুজিব নগর। ঐ ইউনিয়নের নির্বাচন আগামী ১৭ জুলাই। ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রচারনা চালানোর সময় দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে হয়! গতকাল শনিবার রাত ১১টার দিকে ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী নয়ন ফরাজীর বাড়ির সামনে আসলে কথাকাটাকাটির এক পর্যায় সংঘর্ষে রুপ নেয়। প্রায় ঘন্টাব্যপি চলা সংঘর্ষে ফুটবল প্রতীকের সমর্থক মো. সিরাজ ফরাজি,মাইনুদ্দিন মিস্ত্রি, সেকান্দার বেপারী, লোকমান হোসেন,ছিদ্দিক মাঝি,রিজিয়া বেগম,রোসনা বেগম,ও জোসনা বেগম সহ মোট ১২জন আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত সিরাজ ও সেকান্দারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।
এদিকে প্রতিপক্ষ মোরগ প্রতীকের সমর্থক মো.জাহের মালতিয়া, মো.লিটন মালতিয়াসহ মোট ৮জন আহত হয়েছে বলে জানাগেছে। এছাড়া গুরুতর আহত ৪জনকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও ২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ফুটবল প্রতীকের মেম্বার প্রার্থী মাসুদ আলম নয়ন বলেন, আমার ‘প্রতিদ্বন্দ্বী মোরগ প্রতীকের প্রার্থী দুলাল প্যাদা গতকাল রাত ১১টার সময় আমার বাড়ির পাশে মুনাফ ও সাহেব আলী নামের দুই কর্মীকে টাকা দিয়ে তার দলে নেওয়ার প্রস্তাব করেন। প্রস্তাবে তারা রাজি না হওয়ায় কথার কাটাকাটির এক প্রর্যায় মারপিট লেগে যায়। এতে শেখ ফরিদ নামের একজনের বসতঘর ভাঙচুর মোরগ সমর্থকরা। এসময় আমার অন্যান্য কর্মী সমর্থকরা এগিয়ে গেলে তাদেরকেও মারধর করে ১২জনকে গুরুতর আহত করেন।
হামলার বিষয়ে জানতে মোরগ প্রতীকের মেম্বার প্রার্থী দুলাল প্যাদার মুঠোফোনে যোহাযোগ করা হলে কিছু বলবেন না বলে ফোনটি কেটে দেন। পুনরায় ফোন দিলে বলেন আমি ব্যাস্ত পরে কথা বলি।
দুলার হাট থানার মুজিব নগরের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত সাবইন্সপেক্টর মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছেছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে আহত নারী ও পুরুষদের উদ্ধার করে রাতেই হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।