ভোলা নিউজ ২৪ডটকম।। ভোলার মেঘনায় ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজ সাগর নন্দিনী-২ চারদিন পার হয়ে গেলেও তা উদ্ধার এর কোনো অগ্রগতি নেই।বৈরী আবহাওয়া ও উদ্ধাকারি জাহাজ বিলম্বে পৌঁছানোর কারণে উদ্ধার অভিযানে এখনও রয়েছে অনিশ্চয়তা।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) ঘটনার চতুর্থ দিনে উদ্ধারকারি জাহাজ (বার্জ) জোহুর উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে। তবে অপর উদ্ধারকারি জাহাজ হুময়ারা এখনও ঘটনাস্থলে পৌঁছায়নি। এ কারণে ডুবে যাওয়া জাহাজটিকে পানির তলদেশ থেকে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে পরিবেশ দূষণ রক্ষায় সকাল থেকেই কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের একটি দল ল্যামর মেশিন দিয়ে বিশেষ প্রযুক্তির ব্যবহার করে নদী থেকে তেল অপসারণ করছে।
তবে পুরোপুরি উদ্ধার শেষ হতে আরও দীর্ঘ সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ এর যুগ্ম পরিচালক আব্দুল্লাহ আল বাক্বী তিনি বলেন, পরিবেশ বিপর্যয়ের বিষয়টি মাথায় রেখেই আমরা উদ্ধার কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্নের চেস্টা করছি।
কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আকিফ খান রিদম বলেন, জাহাজের নিরাপত্তা, তেল অপসারণ ও উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছে কেস্টগার্ড। উদ্ধার শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা নিয়োজিত থাকবেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে জাহাজটি উদ্ধারে বিআইডব্লিউটিএ, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশের একটি টিম কাজ করছে।এদিকে দ্রুত জাজাজটি উদ্ধার করা না গেলে ভয়াবহ পরিবেশ দূষণের আশংকা করছেন ভোলাবাসী।
রোববার (২৫ ডিসেম্বর) ভোর ৪টার দিকে ভোলার সদর উপজেলার তুলাতুলি ইলিশ বাড়ি পর্যটন কেন্দ্র সংলগ্ন মেঘনা নদীতে পেছন থেকে একটি মালবাহী জাহাজের ধাক্কায় ছিদ্র হয়ে পানি প্রবেশ করে ডুবে যায় সাগর নন্দিনী-২ নামের তেলবোঝাই জাহাজটি।
জাহাজদের স্টাফরা জানিয়েছেন, শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৯০০ টন অকটেন ও ডিজেল লোড নিয়ে চাঁদপুরের ৫ নম্বর ঘাটে পদ্মা ডিপোর উদ্দেশ্যে ১৩ জন স্টাফসহ রওনা হয়েছিল জাহাজটি। ডুবে যাওয়া জাহাজের সব স্টাফকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পদ্মা অয়েল কোম্পানির পক্ষ থেকে চার সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।