ভোলা নিউজ ২৪ ডট নেট ডেস্কঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগের শিকড় বাংলাদেশের মাটিতে এখন অনেক গভীরে। ধাক্কা দিয়ে এই বটবৃক্ষের পতন ঘটানো যাবে না।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ভবনের সামনে ঢাকার প্রথম নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণসভায় ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে আন্দোলনের মাধ্যমে পতন ঘটানো হবে—বিএনপির নেতাদের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব, ধাক্কা দিয়ে আওয়ামী লীগকে ফেলা যাবে না। আওয়ামী লীগ বিএনপি না।…মেয়র হানিফের জনতার মঞ্চের এক ধাক্কায় বিএনপি সরকারের পতন হয়েছিল। মনে আছে? আওয়ামী লীগ সেই দল।’
গণ-অভ্যুত্থান শব্দটি এখন জাদুঘরে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনারা (বিএনপি) রঙিন স্বপ্ন দেখছেন, দেখতে থাকেন…শেখ হাসিনা উন্নয়ন-অর্জন দিয়ে গণ-অভ্যুত্থান শব্দটিকে জাদুঘরে দিয়ে দিয়েছেন।’ মন্ত্রী বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থান এখন জাদুঘরে, গণ-অভ্যুত্থাননের স্বপ্ন এখন দুঃস্বপ্নের নামান্তর। এই দুঃস্বপ্ন দেখে কোনো লাভ নেই। দেশের জনগন শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়নে এত খুশি যে আপনারা সাড়ে আট বছর বারবার আন্দোলনের ডাক দিয়েও জনগণের সাড়া পাননি।’
এ সময় দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘৯১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তো জিতেই গেছে—এমন মানসিকতা ছিল। তখন নানা ষড়যন্ত্র ছিল। তবে জেতার আগেই জিতে গেছি, এই মানসিকতার পুনরাবৃত্তি যেন আগামী নির্বাচনে না হয়।’
শাহে আলম মুরাদ ও সাঈদ খোকনকে মিলিয়ে দিলেন মন্ত্রী
মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দুই নেতা সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ ও মেয়র সাইদ খোকনকে মঞ্চের সামনে এনে সবার উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই দেখুন, তাঁরা মিলে গেছেন।’
সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘শাহে আলম কই, মেয়র সাহেব কই, এদিকে আসো সাইদ খোকন ও মুরাদ।’ তিনি বলেন, ‘এই দেখুন, এক হয়ে গেছে, সামান্য ভুল বোঝাবুঝি ছিল, এক হয়ে গেছে। মহানগর আওয়ামী লীগ এখন ঐক্যবদ্ধ। আজকে আমার এখানে আসার মূল উদ্দেশ্য নেতা মেয়র হানিফকে স্মরণ করতে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে সবার সামনে তুলে ধরা।’
এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।