মো: আফজাল হোসেন :: সারাদেশের চলা ধর্মঘটে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে দ্বীপ জেলা ভোলার মানুষ। বিচ্ছিন্ন জেলার যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে নৌযান। তাই জীবনের ঝুকি নিয়ে ছোট ট্রলার ও স্প্রিড বোডে করেই পাড়ি দিতে হচ্ছে মেঘনা এবং তেতুলিয়া নদী।
শনিবার ২৬ নভেম্বর মধ্যরাত থেকে সারাদেশের সাথে ভোলার নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে জেলার প্রায় ২২লাখ মানুষ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে দেশের মুল ভূখন্ড থেকে। সরাসরি সড়ক পথে কোন যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই দ্বীপ জেলার ভোলার সাথে। সরেজমিন ভোলার ভেদুরিয়া লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায় মানুষের ভোন্তির চিত্র। মো: আলী এসেছেন তার অসুস্ত্র মাকে নিয়ে। উন্নত চিকিৎসা করাতে তাকে দ্রুত বরিশাল যেতেই হবে। লঞ্চ বন্ধ কোন উপায় না পেয়ে অসহায় এই মানুষটি, শেষ পর্যন্ত ছোট ট্রলারে করেই অসুস্থ্য মাকে নিয়ে রওনা করতে হয়েছে।বিপাকে পড়েছে মেহেরপুর যাওয়ার আরেক যাত্রী মো: আশরাফ। সর্ব দক্ষিন চরফ্যাশন থেকে কোন মতে ভোলার ভেদুরিয়া লঞ্চঘাটে পর্যন্ত এসেছে। এখন লঞ্চ বন্দ তাই ট্রলারেই যেতে হবে। তার উপর টাকা যা ছিলো তার বেশির ভাগ শেষ। তাই ক্ষোভটাও বেশি। বল্লেন,সরকার সাধারন মাউষদের নিয়ে চিন্তা করে না্ চিন্তা করলে আমাদের ভোগান্তি উপলোব্দি করতেন। মুখে বল্লেও তিনি সাধারন মানুষের কথা ভাবেন না ও চিন্তা করেন না। যাতে অসহায় মানুষদের ভোগান্তি কম হয়,সেই চিন্তা করার দাবী প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার। ঝালকাঠী যাবেন অসহায় মা বেগম পরমুজুল হক। লঞ্চঘাটে এসেই চোখ কপালে উঠে গেছে। নবজাতক শিশু নিয়ে কিভাবে ট্রলারে যাবেন এইচিন্তা করেই। নিরুপায় এই মা নবজাতক শিশুকেই নিয়ে শেষ পর্যন্ত ট্রলারেই উঠেছে। এভাবে একাধিক রুগী আসছে আর যাচ্ছে বরিশালে। ভোলায় ভালো চিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকা আর ডাক্তারদের হাসপাতালেনা পেয়ে এস্ব রুগিরা বরিশালমুখী হচ্ছে বলে জানালেন,মাথায় আঘাত পাওয়া এক রুগী।
এছাড়া লঞ্চ ও স্প্রিডবোড ঘাটে চরম হয়রানীর স্বিকার হচ্ছে যাত্রীরা। একদিন অতিরিক্ত ভাড়া আর অপরদিকে ঘাটে হয়রানী।সবকিছু মিলিয়ে চরম ভোগান্তির স্বিকার ভোলার মানুষেরা। লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাটে কোন দেখা যায়নি।