ভোলা নিউজ ২৪ ডটকম :: দারুন খেলেই জিতেছে সৌদি আরব। হতাশ হয়েছে কার্জেন্টিনার সমর্থকরা। আশানুরুপ খেলা উপহার দিতে পারেনি তারা। তবে অফসাইড আর্জেন্টিনার জন্য বড় বাঁধা আর পুরো মাঠ ছিলো সৌদির নিয়ন্ত্রনে। মেসিদের জয়ের স্বপ্ন যেন দুঃস্বপ্নে পরিনত হয়েছে।
বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে মরুর দেশে পা রাখে আর্জেন্টিনা।নানান মন্তব্য আসলেও সৌদি চমকের কথা বলেছিলো। আর সেইচমক তারা মাঠে প্রমান করে দিয়েছে। আর টুর্নামেন্টের শুরুটা যে এমন দুঃস্বপ্নের মতো হবে, সেটা হয়তো কল্পনাও করতে পারেননি মেসি-মার্টিনেজরা। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই সৌদি আরবের বিপক্ষে হতাশ করল দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। দুর্বল রক্ষণ আর অফসাইডের মহড়ায় আরব দেশটির সামনে দাঁড়াতেই পারল না আর্জেন্টিনা। ফলাফল হার দিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু হলো লিওনেল মেসিদের। এ ছাড়া টানা ৩৬ ম্যাচ জয়ের পর হারের মুখ দেখল লিওনেল স্কালোনির দল।
আজ মঙ্গলবার ‘সি’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে ২-১ গোলে হেরেছে আর্জেন্টিনা। দলের জয়ের ম্যাচে সৌদির হয়ে গোল করেছেন সালেহ আল শেহরি ও সালেম আল দাওসারি। আর আর্জেন্টিনার হয়ে গোল করেন মেসি। এই গ্রুপের এটাই প্রথম ম্যাচ। এই গ্রুপের অন্য দুদল হলো পোল্যান্ড ও মেক্সিকো।
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুটা ভালো করলেো শেষ পর্যন্ত তা ধরে রাখতে পারেনি মেসিরা। অফসাইড আর সৌদি আরবের রক্ষণ ভাগ ভুগিয়েছে তাদের। ১৫ বার আক্রমণ করে আর্জেন্টিনা। যার ৬টি ছিল অনটার্গেট শট। কিন্তু একটিও আলোর মুখ দেখেনি। অন্যদিকে রক্ষণে জোর দেওয়া সৌদি আরব দ্বিতীয়ার্ধে পরপর দুই গোল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় সৌদি।
শক্তির বিচারে এগিয়ে থাকা আর্জেন্টিনাকে দারুণ রক্ষণ দিয়ে ছাড় দেয়নি সৌদি আরব। কিন্তু শুরুর দিকে ফাউল করে খেসারত দিতে হয় তাদের।
এদিন ম্যাচের ৮ মিনিটে রদ্রিগো দি পলকে পাস দিতে বক্সের মাথা থেকে কিক নেন মেসি। তখন লিয়ান্দ্রো পারেদেসকে আটকাতে গিয়ে ডি বক্সে তাঁকে ফেলে দেন সৌদি ডিফেন্ডার আল বুলাইয়াহি। সৌদি আরবের ফাউলের সুবাদে ভিএআর প্রযুক্তির মাধ্যমে পেনাল্টি পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা। পেনাল্টি থেকে সফল স্পট কিকে আর্জেন্টিনাকে লিড এনে দেন মেসি। কাতার বিশ্বকাপে গোলের খাতা খোলা মেসির এটাই সৌদি আরবের বিপক্ষে প্রথম গোল। তাছাড়া এই গোলের মাধ্যমে আর্জেন্টিনার জার্সিতে সর্বোচ্চ চারটি বিশ্বকাপে গোল করার রেকর্ড গড়লেন মেসি।
২২তম মিনিটে আবারও স্কোরবোর্ডে নাম লেখান মেসি। কিন্তু অফসাইডে বাতিল হয়। একইভাবে অফসাইডে পড়ে মার্টিনেজের দুই গোলও বাতিল হয়। প্রথমটি ভিআরএ দেখে বাতিল দেন রেফারি। পরেরটিতে সঙ্গে সঙ্গে ওঠে অফসাইডের ইঙ্গিত।
বিরতিতে থেকে ফিরেই আরও এলোমেলো হয়ে যায় আর্জেন্টিনা। এই সুযোগ ভালোভাবেই কাজে লাগায় সৌদি আরব। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতায় ফেরে সৌদি আরব। ৪৮তম মিনিটে ফেরাস আল ব্রিকানের বাড়িয়ে দেওয়া বল থেকে দূরের পোস্ট দিয়ে স্কোরলাইন ১-১ করেন সালেহ আল শেহরি।
গোল খাওয়ার ধাক্কা না সামলাতেই আর্জেন্টিনাকে স্তব্ধ করে এগিয়ে যায় সৌদি আরব। ৫৩ মিনিটে সালেম আল দাওসারির গোলে লিড নিয়ে নেয় আরব দেশটি। হতাশ আর্জেন্টিনা এরপরই পথ হারায়। টানা ৩৬ ম্যাচে জয়ের ছন্দে উড়তে থাকা আর্জেন্টিনা শিবিরে উঁকি দেয় হারের শঙ্কা। সেই শঙ্কাই সত্যিই হলো। হার দিয়েই বিশ্বকাপ শুরু হলো আর্জেন্টিনার।