ভোলা নিউজ২৪ডটকম।। ভোলার দৌলতখান উপজেলার মেঘনা নদীতে যাত্রবাহী লঞ্চ তাসরিফ-২-এর ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার করেছেন কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের সদস্যরা। এ ঘটনায় মমিন মাঝি (১৮) নামের আরও এক জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।
নিহত দুই জেলে হলেন-এরশাদ মাঝি (৩৪) ও আকবর মাঝি (৩৫)। তারা দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেঘনা নদী থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ভনানীপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার আব্দুল মতিন দুই মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ভাবানীপুর লঞ্চঘাটের উত্তর মাথায় মেঘনা নদীতে জেলেরা মাছ শিকার করছিলেন। এসময় তাদের জালে ওই দুই জেলের মরদেহ আটকা পড়ে। জেলেরা কোস্টগার্ডকে খবর দেন। পরে কোস্টগার্ড সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসেন।
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমান ভোলা নিউজ২৪ডটকম কে জানান, মেঘনায় মাছ শিকারের সময় ট্রলারডুবির ঘটনায় ৯ জেলের মধ্যে ৩ জেলে নিখোঁজ ছিল। নিখোঁজদের মধ্যে মো. এরশাদ ও মো. আকবরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জেলেদের মরদেহ দৌলতখান থানায় পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় মো. মমিন নামে এখনো এক জেলে নিখোঁজ রয়েছে। তাকে উদ্ধারে কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করছে।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দিনগত গভীর রাতে উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের আব্দুর রহমানের ট্রলারে করে ওই ইউনিয়নের ৯ জেলে ইলিশ শিকারের জন্য রওনা দেন। রাত দুই তিনটার দিকে তারা উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে মেঘনা নদীতে মাছ ধরছিলেন।
ওই সময় ঢাকা থেকে হাতিয়াগামী তাসরিফ-২ যাত্রীবাহী লঞ্চটি ওই স্থানে এসে ট্রলারটিকে ধাক্কা দেয়। এ ঘটনায় ট্রলারে থাকা তিন জেলে নিখোঁজ হন। এছাড়া আরও ছয় জেলেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।