তজুমদ্দিন প্রতিনিধি,ভোলা নিউজ২৪ডটকম।। ভোলার তজুমদ্দিনে মৎস দপ্তরের কর্মকর্তারা পুলিশ-কোষ্টগাডের সহায়তায় মেঘনার বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে ২১ দিনে ৩ লক্ষাধীক মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল উদ্ধার করেছে।
নদীকে ইলিশের অভয়াশ্রমে পরিনত করার লক্ষ্যে অবৈধ জাল উদ্ধারে সম্মিলিত বিশেষ কম্বিং অপারেশনের অংশ হিসেবে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
উপজেলা মৎস অফিস সুত্রে জানা গেছে, সরকার মেঘনা নদীতে ইলিশের নিরাপদ বিচরণ কেন্দ্র ও ঝাটকা মাছ নিধন রোধে চার ধাপে ২৮ দিনের জন্য সম্মিলিত বিশেষ কম্বিং অপারেশন শুরু করে। ইতিমধ্যে এ অপারেশনের তিন ধাপে পরিচালিত হয়েছে। বিগত বছরের ৩০ ডিসেম্বর থেকে এবছরের ৫ জানুয়ারী প্রথম ধাপে, ১৪ জানুয়ারী থেকে ২১ জানুয়ারী দ্বিতীয় ধাপে এবং তৃতীয় ধাপে ২৮ জানুয়ারী থেকে ৩ ফেব্রæয়ারী পর্যন্ত মোট ২১ দিন অভিযান চলে। আগামী ১৩ ফেব্রæয়ারী থেকে ২০ ফেব্রæয়ারী পর্যন্ত পুনঃরায় চলবে চতুর্থধাপের এ অভিযান।
এসময় উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা ও মৎস অফিসার পুলিশ-কোষ্টগার্ডের সদস্যদের সমন্বয়ে ৩৩ টি অভিযানের মাধ্যমে মেঘনা নদী থেকে ৩ লক্ষ ১১ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল, ৬৪টি বেহুন্দি জাল ও ৭৩টি ধরা, মশারী চরগোরা অবৈধ জাল উদ্ধার করে জনসম্মেূখে আগুনে পুড়ে ধ্বংস করা হয়। এসময় আরো ৬টি নৌকা ৩০টি নোঙর এবং ১ হাজার ৪০৫ কেজি ঝাটকা ইলিশ উদ্ধার করা হয় । এসব মাছ গরীব অসহায় মানুষ ও বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। নৌকা ও নোঙ্গর উন্মোক্ত নিলামের মাধ্যমে ৮৭ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। ৭টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ২০টি মামলার মাধ্যমে ৮১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অভিযানের সময় মেঘনার হাকিমুদ্দিন হয়ে চরজহির উদ্দিনের উত্তরাংশ, চরমোজাম্মেলসহ চর কলাতলীর পূর্বাংশ হয়ে বাতিরখাল পর্যন্ত মেঘনা মোহনায় অভিযান পরিচালিত হয়। এসব অভিযানে অংশ নেন ইউএনও মরিয়ম বেগম, জেলা মৎস কর্মকর্তা এসএম আযহারুল ইসলাম, উপজেলা মৎস কর্মকর্তা আমির হোসেন, থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়াউল হক, কোষ্টগার্ডের তজুমদ্দিন আইট পোস্টের সিসি সাইফুল ইসলাম, মেরিন ফিশারীজ কর্মকর্তা মোঃ আল আমীন ও ক্ষেত্র সহকারী মনোয়ার আলী।
উপজেলা মৎস কর্মকর্তা আমির হোসেন জানান, মেঘনায় আমবশ্য ও পূর্ণিমার জো-তে সাগর থেকে প্রচুর পরিমান ছোট ইলিশ জোয়ারের টানে এ অঞ্চলের নদীতে ছুটে আসে। এ সময় এক শ্রেণির অসাধূ জেলে ও আড়ৎদারের সহযোগীতায় মেঘনার বাঁকে বাঁকে অবৈধ জাল বসিয়ে এসব মাছ নিধন ও মাছের গতিপথ নষ্ট করছে। যারফলে ছোট ছোট মাছগুলো নিধনের ফলে মৎস সম্পদ বিনষ্ট হচ্ছে। তাই, এসব মাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় রাখতে অবৈধ জাল উচ্ছেদ করতে সরকার চার ধাপে ২৮ দিনের জন্য সম্মিলিত বিশেষ কম্বিং অপারেশন শুরু করে।