ভোলা নিউজ২৪ডটকম।। অভিনেতা জায়েদ খানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন অভিনেত্রী সাদিকা পারভীন পপি। তিনি দাবি করেছেন, জায়েদ খান তার বুকে পিস্তল ঠেকিয়েছিল।
একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সঙ্গে ভিডিওকলে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন অভিযোগ করেনতিনি।
রাতেই পপির এই ভিডিও সাক্ষাৎকার ভাইরাল হয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেম।
বৃহস্পতিবার রাতে সেই ভিডিওকলে পপি বলেন, ‘জায়েদ খান একটা পিস্তল কেনার জন্য আমার কাছে টাকা ধার নিয়েছিল। সেই টাকা দিয়ে সে পিস্তল কিনেছে।
আমি একটা জায়গায় শুটিং করছিলাম, শুটিংয়ে গিয়ে সে বলল একটা কথা আছে, জরুরি কথা। শুটিং শেষ করে গাড়িতে বসলাম।
সে হঠাৎ করেই আমার কানের পাশ দিয়ে ধম ধম করে গুলি ফোটালো। ভয় পেয়ে গেলাম খুব, আমি তো এসব দেখে অভ্যস্ত না। একটু পর নাকি সেই পিস্তলের নল আমার বুকে ঠেকিয়ে জায়েদ খান বলে, বেশি বাড়াবাড়ি করার দরকার নেই, যতটুকু পারো কাজবাজ করে চলচ্চিত্র থেকে বেরিয়ে যাও। আমাকে বিভিন্ন রকম হুমকি-ধমকি দিতে থাকল। আমার ভাই-বোন নিয়ে মোটামুটি একটা থ্রেটই দিল। আমার ভাই ছোট, বলল তার নামে কেস করা হবে, বিভিন্ন জায়গায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে। বোনরা বিয়েশাদি করে নাই, তাদেরও প্রবলেম হবে।
এ বিষয়ে কারো সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে পপি বলেন, হ্যাঁ, যোগাযোগ করেছিলাম। কেউ আগায় কেউ আগায় না। ইন্ডাস্ট্রিকে মোটামুটি জবরদখলের জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল। সবাইকে ভয় দেখায়, প্রশাসন তার হাতে। কিছু হলে প্রশাসনের ভয় দেখায়, কিছু হলে থানার ভয় দেখায়। কোর্ট-কাচারির ভয় দেখায়। আমি তো আসলে মেয়ে মানুষ। আমি এখানে কাজ করতে এসেছি। আমার পেশা অভিনয় করা, কারো সঙ্গে যুদ্ধ করা না। আমি কোনো দিন পার্টি বা আড্ডাবাজি করিনি। আমি ফ্যামিলি ওরিয়েন্টেড একটা মানুষ, কাজ শেষ করেছি ঘরে চলে এসেছি।
পপি আরও বলেন, এসব ঘটনার কথা তিনি সিনিয়র শিল্পীদের জানিয়েছিলেন। এমনকি এর মধ্যে ছিলেন মিশা সওদাগরও। তিনি বলেন, আমি সিনিয়দের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা আমাকে স্ট্রেইট বলেছে, আমরা এসব কিছু জানি না। আমার কাছে ঐ মুহূর্তে মনে হয়েছে চলচ্চিত্র অভিভাবকশূন্য। আমি সে সময় কাউকেই পাশে পাইনি। আমি অনেক সাংবাদিককে বলেছি, আমাকে পলিটিকসের শিকার করা হচ্ছে। ইভেন আমি মিশা ভাইকেও জানালাম। আমাদের যে কমিটি ছিল তাদের সবাইকে জানালাম। যখন বিষয়গুলো জানাজানি হয়ে গেল তখন মিশা ভাই বলল, জায়েদ তুমি পপির কাছে মাফ চাও। সে লোকসম্মুখে আমার কাছে দুই হাত জোড় করে মাফ চাইল, হ্যাঁ আমি এগুলো করেছি আর করব না।