পেপারফ্লাইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা রাহাত আহমেদ বুধবার রাতে মুঠোফোনে বলেন, ‘গত জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত আমরা ইভ্যালির পণ্য বিলির কাজ করেছি। আমাদের সঙ্গে তাদের চুক্তি আছে। টাকা চেয়ে চেয়ে না পেয়েই শেষ পর্যন্ত আইনি নোটিশ দেওয়া হলো।’
পেপারফ্লাইয়ের মতো অনেক ব্যবসায়ীই ইভ্যালির কাছে টাকা পান বলে জানা গেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া ইভ্যালির হিসাব অনুযায়ী, ব্যবসায়ীদের কাছে ইভ্যালির দেনা ২০৫ কোটি টাকার বেশি। আর গ্রাহকেরা ইভ্যালির কাছে পান ৩১১ কোটি টাকা।
ইভ্যালির দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, গত ১৫ জুলাই পর্যন্ত ইভ্যালির মোট দায় ৫৪৩ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটির কাছে চলতি সম্পদ ছিল মাত্র ৬৫ কোটি টাকা। এই সম্পদ দিয়ে কোনো অবস্থাতেই কোম্পানিটি দায় পরিশোধ করতে পারবে না বলে প্রতিবেদনে আশঙ্কা করা হয়।
পেপারফ্লাইয়ের আইনি নোটিশের বিষয়ে ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল বুধবার রাতে বলেন, ‘আমাদের কাছে পেপারফ্লাই সাত কোটি টাকা পায়, এটা ঠিক। এ টাকা আমরা দিয়ে দেব।’ কবে দেওয়া সম্ভব, এমন প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ রাসেল বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট সময় বলা যাচ্ছে না। আমরা তো ব্যবসা করছি। ফলে বেশি সময় লাগবে না।’