ভোলা নিউজ ২৪ ডটকম :: ভোলায় ঢিলেঢালা ভাবে চলছে লকডাউন। রাস্তায় যানবাহন আর মানুষের উপস্থিতি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রবনতা। এসব ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি হচ্ছে উপেক্ষিত। কঠোর অবস্থানে প্রশাসন। আটকের পর জেল-জরিমানা করা হলেও চলছে সবই।
ভোলা শহর,উপজেলা গুলো ও শহরতলীর পরিস্থিতি দেখে মনে করার কোন উপায় নেই যে করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাওয়ায় সরকার কঠোল লকডাউন দিয়েছে। রাস্তায় চলাচলরত সাধারন মানুষের মাঝে এসব নিয়ে কোন চিন্তা নেই। যানবাহন চলাচল আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েক গুন। শুধু তাই নয়,মানুষের চলাচল দেখেে মনে হবে দেশে কোন করোনা নেই। সরকার লকডাউন তুলে নিয়েছে। সুযোগ বুঝে খোলা রাখছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো। প্রশাসনের গাড়ী দেখলেই সাটার নামে আবার চলে গেলেই উঠে। মুলত এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকার কারনেই বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ শহরমুখী হচ্ছে। কেউ কেউ মোবাইল কোর্ট এর কাছে ধরা খেয়ে জরিমানা গুনতে হয়েছে এদের। অনেককেই আটক করা হয়েছে। ঝড় বৃস্টিকে উপেক্ষা করে মোবাইল পরিচালনা করতে দেখা গেছে প্রশাসনকে। শহরে শুধু বাস বন্ধ রয়েছে চলছে বাকী সব যানবাহন। নৌ-বাহিনী,র্যাব,বিজিবি ও পুলিশ সমানতালে কাজ করে যাচ্ছে। নৌ-বাহিনীর সদস্যদের দেখা গেছে প্রচন্ড বৃস্টিকে উপেক্ষা করে রাস্তায় দ্বায়িত্ব পালন করতে। তবে মোঃ জামাল উদ্দিন নামের একজন সাধারন মানুষ প্রশ্ন করলেন,করোনা কি শুধু শহরের সদর রোড,মহাজপট্র,িবাংলাস্কুল মোড় আর নতুন বাজারে। এর বাহিরে কি নেই।
এদিকে বোরহানউদ্দিন,তজুমদ্দিন,বাংলাবাজারসহ বেশ কয়েকটি উপজেলা ও উপ-শহর এবং প্রধান সড়করে পাশের বাজার গুলো দেখলে মনে হবে এখানে কোন লকডাউন নেই। সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকে খোলা। যে যার মত করেই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। সেখানে অভিযানের কোন চিহ্ন দেখা গেল না। একবার বোরহানউদ্দিনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ী দেখে কছিু ব্যবসায়ীরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠা বন্ধ করে। ৪/৫মিনিট দাড়িয়ে চলে গেলেন তিনি। আবার আগের মতই শুরু হয় সব।
অপরদিকে শুধু বাস চলাচল বন্ধ দেখা গেছে।এছাড়া এ্যাম্বুলেন্স,মাইক্রো,প্রাইভেটকার, মাহেন্দ্র, বোরাক, সিএনজিতে করে প্রতিদিন হাজারো মানুষ ৪/৫গুন ভাড়া বেশি দিয়ে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যাচ্ছে ঠাসাঠাসি করে। সেখানে কেমন স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা হচ্ছে,এমন প্রশ্ন অনেকেরই।
এসব বিষয় ভোলার জেলা প্রশাসক মো: তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী বলেন,সরকারের নির্দেশনা সকলেরই মেনে চলতে হবে। আমাদের ম্যাজিষ্ট্রেটরা নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে যাচ্ছে।