ভোলায় দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া- আহত ২০

0
51

ভোলা নিউজ২৪ডটকম।।ভোলা পৌর নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে ততই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ভোটের মাঠ। সকালে ভোলা পৌর সভার ৪ নং ওয়ার্ডে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ধাওয়া পাল্টা দাওয়ার ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।এই ঘটনায় উভয় পক্ষের প্রায় ২০ জন আহত হন। আহতদের ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার  সকালে ভোলা পৌর সভার ৪নং ওয়ার্ডের আলিয়া মাদ্রাসা এলাকায়  ব্রাক অফিসের  সামনে এ ঘটনা ঘটে। ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত  কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এনায়েত হোসেন জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে আমরা সেখানে টহল পুলিশের পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশের টহল রেখেছি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ভোলা পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে পৌর ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মোঃ শওকত হোসেনের ডালিম প্রতীক ও আসাদ হোসেন জুম্মানের উট পাখি প্রতীকের  প্রচারনার সময় সামর্থনকারীদের মধ্যে দফায় দফায় সংর্ঘষের ঘটনায় দুই পক্ষের প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুই পক্ষের ১০/১৫ জনকে  গুরুতর আহত অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আহতদের মধ্যে শওকত হোসেনের সামর্থক মোঃ আবিদ (২৮), মাইনুল (৩০), সোহাগ (২৫), মাসুম (২৪), সাবিদ (১৮), সূচনা (২০), মনির (৩০) এবং আসাদ হোসেন জুম্মানের  মোঃ মহসিন (৩০), বজলু হাওলাদার (৫০), উজ্জল (৩৫), দিপু (৪০), মানছুর (৩৫) এর নাম প্রাথমিক পর্যায়ে পাওয়া গেছে। সকাল সোয়া ১০টার দিকে ৪নং ওয়ার্ডের উট মার্ক প্রতিকের কাউন্সিলর প্রার্থী আসাদ হোসেন জুম্মান তার নির্বাচনী প্রচারনার জন্য কর্মী সমর্থদের নিয়ে ঘর থেকে বের হয়। এসময় তার প্রতিদন্ধী ডালিম মার্কার অপর প্রার্থী শওকাত হোসেনের নির্বাচনী অফিসের সামনে দিয়ে যেতেই অফিসে থাকা শওকাতের কর্মী সমর্থকরা জুম্মানসহ তার কর্মী সমর্থদের উপর হামলা চালায়। এতে করে দুই গ্রুপে বেধে যায় সংঘর্ষ। সংঘর্ষের এক পর্যায় শওকাতের কর্মী সমর্থকরা জুম্মানের নির্বাচনী কার্যালয়টি ভাংচুর করে। প্রায় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় ২০জন আহত হয়। এ সময় ২০টির মতো ককটেল বিস্ফোরনের শব্দ শোনা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এখনো ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ওই ওয়ার্ডে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ান করা হয়েছে।
কাউন্সিলর প্রার্থী শওকত হোসেন জানান, সকাল থেকে আমার সামর্থনকারীরা বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমার জন্য ভোট চাইছিলেন। ওই সময় আমার বিপক্ষ প্রার্থী আসাদ  হোসেন জুম্মানের সমর্থনকারীরা আমার সমর্থনকারীদের উস্কানীমূলক কথা বলে সংর্ঘষের সৃষ্টি করে। পরে আমার বাড়ি ঘরে হামলা চালায়। এতে আমার ১৫ জন সমর্থনকারী আহত হয়েছেন। তার সবাই ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন। অপরদিকে কাউন্সিলর প্রার্থী আসাদ হোসেন জুম্মান জানান, আমার বিপক্ষ প্রার্থী শওকত হোসেনর  নেতৃত্বে আমার নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করে। এসময় আমরা বাঁধা দিতে গেলে আমাদের উপর চড়াও হয়ে হামলা চালায়। এতে আমার ২০/৩০ জন সমর্থনকারী আহত হয় বলে দাবি করেন। এদের মধ্যে অনেকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এনায়েত হোসেন জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে আমরা সেখানে পুলিশের টহল  রেখেছি।

LEAVE A REPLY