মো: আফজাল হোসেন ।। ভোলার মেঘনা নদীতে জেলেদের হামলায় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও মৎস্য কর্মকর্তাসহ অন্তত ৬জন আহত হয়েছে বলে জেলা প্রশাসক জানান। তবে বন্ধ হয়নি ইলিশ ধরা বিক্রি কিংবা বরফ কলের বরফ উৎপাদন।
গতরাত ৩টায় ভোলার মেঘনা নদীর ভোলার চর নামক স্থানে এই হামলার ঘটনা ঘটে। ঐ সময় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সহকারী কমিশনার(ভুমি) আবি আব্দুল্লাহ খান এবং উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো: আসাদুজ্জামানসহ পুলিস সদস্যরা মেঘনায় অভিযানে বের হয়। এসময় নিষিদ্ধজোনে মাছ ধরারত অবস্থায় জেলেরা অভিযানে বের হওয়া ম্যাজিষ্ট্রেটদের উপর ইট,পাথড় নিয়ে হামলা করে। এতেনির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সহকারী কমিশনার(ভুমি) আবি আব্দুল্লাহ খান এবং উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো: আসাদুজ্জামানসহ ৬জন আহত হয়। আহতদের ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এদিকে প্রতিদিন ইলিশ ধরা আর বিক্রি বন্ধ ছিলো না। বন্ধ ছিলো না বরফকল গুলো। তারা বরফ উৎপাদন করায় এবছর ইলিশ ধরার প্রবনতাটা ছিলো অন্যসব বছরের চেয়ে একটু বেশি। ইলিশের আকার বড় থাকায় মাছ মজুদ করার অভিযোগ উঠেছে আগ থেকেই। সচেতন মহল মনে করেন,ইলিশ মজুদ করতে পারায় জেলেরা মাছ ধরা বন্ধ করেনি। যে কারনেই এবছর অভিযান চালানোর সময় হামলার ঘটনা ঘটেছে জেলার লালমোহন,ভোলা সদরে। রাত ১২.০১টা থেকে ইলিশ ধরা শুরুর কথা থাকলেও ভোর রাত থেকেই জেলেরা জাল ও নৌকা নিয়ে নদীতে নেমে যায় মাছ ধরতে। এছাড়া শহরে প্রকাশ্যেই সারাদিন বিক্রি হয়েছে ইলিশ। বরফকল গুলো থেকে নামানো হয়েছে বরফ।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এঘটনায় পরবর্তি পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আলোচনায় বসেছেন। আহতদেরকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন ভোলার মেঘনা তেতুলিয়া নদীতে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছে।