মো: আফজাল হোসেন ।। ছবি দেখে মনে হতে পাড়ে জেলে পরিবারের কারো বিয়ে কিংবা নৌকার মাঝি নিজেই বিয়ে করতে যাচ্ছেন। না এমন কিছুই নয়। আসলে এবছর শেষের দিকে প্রচুর ইলিশ জেলেদের জালে ধরা পরেছে। তাই ২২দিন নিষেধাজ্ঞাকে সামনে রেখেই নৌকা নিয়ে আনন্দ প্রকাশ করেই নিজ বাড়ি যাচ্ছেন এসব জেলরা।
আজ১৩ অক্টোবর সকাল ভোলা সদর উপজেলার ইলিশার মেঘনা নদীর পাড়ের মাছঘাটে গেলে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। মুলত এরাসকলেই ভোলা জেলার বাহির থেকে ভোলার নদীতে আসে ইলিশ মাছ ধরার জন্য। তাই এমনটাই আয়োজনের মধ্যেদিয়ে তারা নিজ নিজ নৌকা সাজিয়ে আনন্দ প্রকাশ করতে করতে বাড়ি যাচ্ছে। সাড়িবদ্ধ ভাবি একের পর এক জেলে নৌকাকে দৃস্টিনন্দন করে সাজিয়ে নদী থেকে থেকে যাওয়ার দৃশ্য অনেকেরই নজর কেড়েছে।
এদিকে জেলে মাঝি মো: গিয়াস উদ্দিন,বলেন তার বাড়ি মাদারীপুরে তিনি প্রতিবছর আসেন এখানে ইলিশ মাছ স্বিকারে। সরকার ২২দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে,তাই নিজ বাড়ি যাচ্ছি। প্রথমদিকে ইলিম পাওয়া না গেলেও শেষের দিকে প্রচুর ইলিশ জালে ধরা পরেছে। তাই আজ যা পেয়েছি,তা সব নিজ বাড়ির জন্য নিয়ে একটু আনন্দ করেই যাচ্ছি। স্যার আসলে আমরাওতো মানুষ,আনন্দ করতে ইচ্ছাতো করে। একই ধরনের কথা বল্লন,অপর জেলে মো: বেল্লাল। তিনি এসেছেন চাঁদপুর থেকে। আজ চলে যাচ্ছেন। কারন আজ রাত ১২টার পর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ২২দিন মা ইলিশ সংরক্ষন অভিযান উপলক্ষে সকল ধরনের মাছ ধরা,ক্রয়-বিক্ষয়,পরিবহন ও মজুদকে নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য অধিদপ্তর। তাই ঝামেলা এড়াতেই আগেই যাচ্ছি।
ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে জেলেদের রূপালী জালে সোনালী ইলিশের দেখা মিলেছে। ইলিশে সয়লাব জেলার ছোট বড় শতাধিক মাছ ঘাট। আর তাই নাওয়া-খাওয়া ভুলে দিন রাত ইলিশ ধরা আর মোকামে চালান করা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলে ও মাছ ব্যবসায়ীরা। এদিকে মেঘনা তেঁতুলিয়া নদীতে কাঙ্খিত ইলিশের দেখা মেলায় জেলেদের মধ্যে খুশির আমেজ,
ভোলার মৎস্য কর্মকর্তা এস. এম. আজহারুল ইসলাম জানান, বর্তমানে জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ মাছ ধরা পড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে ইলিশের উৎপাদনের যে লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা অর্জন করা সম্ভব হবে। এ বছর ভোলা জেলায় ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৬৫ হাজার মেট্রিক টন। মৌসুমের প্রথম ৩ মাসেই ধরা পড়েছে প্রায় ৫৫ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ।