ছয় মাসে পাগলা মসজিদ দান বাক্সে পৌনে দুই কোটি টাকা

0
73

ভোলা নিউজ২৪ডটকম।। করোনাভাইরাস মহামারি স্বাভাবিক জীবনযাপনে ছন্দঃপতন ঘটালেও কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সের চিত্র বলছে অন্য কথা। গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় দানবাক্স খোলার পর অর্থ গুনে দেখা গেছে, সেখানে জমা পড়েছে এক কোটি ৭৪ লাখ ৮৩ হাজার ৭১ টাকা।

সাধারণত তিন মাস পর পর পাগলা মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়। তবে করোনাভাইরাসের কারণে এবার ছয় মাস সাত দিন পর এগুলো খোলা হয়েছে। এর আগে সর্বশেষ গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সেগুলো খোলা হয়েছিল। তখন এক কোটি ৫০ লাখ ১৮ হাজার ৪৯৮ টাকা পাওয়া যায়। ২০১৯ সালের ২৬ অক্টোবর মসজিদের দানবাক্স থেকে এক কোটি ৫০ লাখ ৮৪ হাজার ৫৯৮ টাকা পাওয়া গিয়েছিল।

গতকাল সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়। দিনব্যাপী চলে অর্থ গণনা। এতে মসজিদ-মাদরাসার ৬০ শিক্ষক-শিক্ষার্থীর পাশাপাশি অংশ নেন রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা। বিপুল পরিমাণ দানের মধ্যে নগদ টাকার পাশাপাশি পাওয়া গেছে স্বর্ণালংকারও। বৈদেশিক মুদ্রাও মিলেছে।

পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মো. সারোয়ার মুর্শেদ চৌধুরী টাকা গণনার কাজ পরিদর্শন করেন। এ সময় পাগলা মসজিদের সাধারণ সম্পাদক কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফার তত্ত্বাবধানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শফিকুল ইসলাম, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধা মো. শওকত উদ্দীন ভূঞা, রূপালী ব্যাংকের এজিএম অনুপ কুমার ভদ্র টাকা গণনার কাজ তদারক করেন। গণনা শেষে টাকা রূপালী ব্যাংকে জমা করা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ জমির ওপর এই মসজিদ গড়ে ওঠে।

LEAVE A REPLY