মো: আফজাল হোসেন ।। উজান থেকে নেমে আসা পানির প্রবল স্রোত ও মেঘনা নদীর চাপে ভোলার ইলিশার বাঘারহাওলা নামক স্থান দিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। ফলে উত্তাল মেঘনা নদীর পানি হুহু করে ঢুকে অন্তত ২০ গ্রাম প্লাবিত করেছে। আতংকিত হয়ে পড়েছে গ্রামবাসী।
আজ ২০ আগস্ট ভোরে কিছু বুঝে উঠার আগেই ইলিশার বাঘারহাওলা নামক স্থান থেকে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ভেঙ্গে যায়। পড়ে মসজিদের মাইক দিয়ে গ্রামবাসীকে জানালে তারা এসে বাঁধ রক্ষার চেস্টা করে। তবে পানির চাপে শেষ আর রক্ষা হয়নি। জোয়ারের পানির চাঁপ ও উত্তাল মেঘনার ঢেউয়ের তোরে আরো ভেঙ্গে মেঘনার পানি হু হু করে গ্রামে ঢুকে একে একে অন্তত ২০গ্রাম প্লাবিত করেছে। এসময় আতংকিত হয়ে পড়ে পুরো এলাকার মানুষের মাঝে। দিগবেদিক ছুটাছুটি করেন তারা। শুধু তাই নয়,কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এসব মানুষেরা। নতুন করে গড়ে তোলা ঘর প্লাবিত আর পানির তোরে ভেসে যাওয়ার দৃশ্য দেখে বাঁধের উপর হামুড়ি-গুমুড়ি খেতে দেখা যায় অনেককে। ঘর-বাড়ি পানিতে প্লাবিত হলে ঘরের মালামাল পানিতে ভেসে যাওয়ায় আতংক আরো বেড়ে যায়। যে যার মত করে পেরেছে ঘরের মালামাল রক্ষা করেছে। কেউ বাঁধের উপর এনে রেখেছে। আশ্রয় নিয়েছে উচু স্থানে।
এদিকে খবর পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ সরকারী ও বেসরকারী কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এসময় তারা গ্রামবাসীর তোপের মুখে পড়েন। তাদেরকে দেখে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকাবাসী। ঘর-বাড়ি ডুবে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে প্লাবিত গ্রামের হাজারো মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড-১এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো: হাসানুজ্জামান বলেন,খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। একই সাথে মাটি কাটার জন্য ভেকু এনেছি। তবে জোয়ার থাকায় কাজ সম্ভব হচ্ছে না। ভাটার সময় বাঁধ মেরামতের চেস্টা করে গ্রামবাসীকে রক্ষা করা হবে।
এছাড়া অপরদিকে পুর্নীমার জো ও নিন্মচাপের ফলে মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৬থেকে ৭ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ভোলার নদী মধ্যবর্তী চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্ধি হয়ে পরেছে কয়েক হাজার মানুষ।বৈরী আবহাওয়ার কারণে ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদী প্রচন্ড উত্তাল হয়ে উঠৈ।
ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা,রাজাপুর,ধনিয়া,কাচিয়া,ভেদুরিয়া,ভেলুমিয়া, শিবপুর, দৌলতখান উপজেলা,বোরহানউদ্দিন, তজুমদ্দিন, মনপুরা ও চরফ্যাশন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাঁধের উপর দিয়ে পানি লোকালয়ে ডুকে পড়েছে বলে খবর পাোয়া গেছে। জেলার ঢালচর, চর নিজাম, কাজীর চর,কলাতলীর চর,মদনপুর,মেদুয়া,চর চটকিমারা, কচুয়ারসহ নদী মধ্যবর্তী এসব চরাঞ্চল ৬ থেকে ৮ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে।