আরিফ উদ্দিন রনি,ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট: ভোলায় বিএনপি’র সদস্য সংগ্রহ অভিযান উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ। হামলাকারীরা ঐ সমাবেশের চেয়ারটিবিল,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে। হামলায় বিএনপির অন্তত ২০জন আহতর খবর পাওয়া গেছে। এঘটনায় বিএনপি প্রতিবাদ সভা করেছে।
আজ সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় ভোলা সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নে বিএনপির পুর্ব নির্ধারিত সদস্য সংগ্রহ অভিযান উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশ এহামলার ঘটনা ঘটে। বিএনপি সমাবেশ শুরু করার পরই আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে সমাবেশে হামলা চালায়। এসময় তারা এলোপাথাড়ি ভাবে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মারধোর করে। তাদের হামলায় স্থানীয় ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি মো: খলিল হাওলাদার,সাংগঠনিক সম্পাদক মো: ওমর ফারুক,কৃষক দল সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক,ছাত্রদল সভাপতি মো: স্বপন,ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি মো: জামাল খান,মো: রাশেদ,মো: খোকনসহ অন্তত ২০জন আহত হয়েছে বলে দাবী স্থানীয় বিএনপির। এছাড়া ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি মো: ইউনুচ খান কমান্ডারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলাকারীরা সমাবেশের অন্তত শতাধিক চেয়ার ভাংচুর করে। আহতদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে এঘটনা ছড়িয়ে পরলে ভেদুরিয়া বিএনপিসহ অংগ সংগঠনের শত শত নেতা-কর্মীরা ব্যাংকেরহাট বাজারে অবস্থান নেয়। তারা ভেলুমিয়ার দিকে রওনা হতে চাইলে সিনিয়র নেতারা সংঘাত না বাড়ানোর কারনে তাদেরকে না করে। এসময় তারা দলীয় নেতা-কর্মীদের স্লোগান দিয়ে স্বাগত জানায় এবং আওয়ামী লীগ এবং হামলার বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে।
এদিকে এঘটনার পর ভোলা শহরের মহাজনপট্রিস্থ্য জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য গোলামনবী আলমগীর সভার সভাপতিত্ব করেন। এসময় বক্তব্য দেন জেলা ও উপজেলা বিএনপি এবং বিভিন্ন অংগ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এসময় জেলা বিএনপির সভাপতি আরো বলেন, বাংলার মাটিতে আর বীনা ভোটের নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। সন্ত্রাসী আর গুন্ডাপান্ডা দিয়ে হামলা চালিয়ে বিএনপিকে থামিয়ে দেয়া যাবে না। তারা মুখে গনতন্ত্রর কথা বল্লেও কাজ করে সন্ত্রাসী স্টাইলে। তিনি বানিজ্যমন্ত্রী ও স্থানীয় এমপি তোফায়েল আহমেদকে উদ্দেশ্য করে বলেন,হামলা,ভাংচুরের রাজনীতি বাদ দিয়ে দেন। ভোলার বিএনপি অনেক শক্তিশালী। হামল,ভাংচুর করে কোন লাভ হবে না। তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন,ভোলা বিএনপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান ঠেকানো যায়নি এবং যাবে না। আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যাব। শনিবার রাজাপুর ইউনিয়নের শান্তিরহাট বাজারে সদস্য সংগ্রহ অভিযান উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে সকল নেতা-কর্মীদের যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।