আদিল হোসেন তপু,ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট : জোরপূর্বক জমি দখল ও সুপারী পাড়ায় বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ভোলার বাপ্তায় প্রতিপক্ষের হামলায় ভোলার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের কর্মচারীসহ ৫জন আহত হয়েছে। তাদেরকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে বাপ্তা ইউনিয়নের মুছাকান্দী হাজীরহাট এলাকার পাটোয়ারী বাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মুছাকান্দী গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ী এলাকার বাসিন্দা আবু তাহেরের মেয়ে রেশমা বেগম ও তার জামাতা মুজাম্মেল হক স্থানীয় শাজাহান ও শাহে আলমের কাছ থেকে ২০১৪ সালে ২৩ শতাংশ জমি ক্রয় করে। সেখানে রেশমা বেগম গৃহনির্মান করে বিনা বাধায় ভোগদখল করে আসছিলো। গত কয়েকদিন ধরে স্থানীয় শাহাজল গং রেশমা ও মুজাম্মেলের জমি অবৈধভাবে দখলের পায়তারা করছিলো। রেশমা ও মুজাম্মেল কয়েক মাস ধরে ঢাকাতে অবস্থান করায় ওই জমি রেশমার পিতা আবু তাহের দেখাশুনা করে আসছিলো। বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে স্থানীয় স্থানীয় শাহাজলের ছেলে ইকবালের নেতৃত্বে শাহাজল, ছগির, রফিজলের ছেলে সাত্তার, আবদুল গনি, লোকমান সহ ১০/১৫জন মিলে গিয়ে জোরপূর্বক সুপারী পাড়ে এবং বশতঘর ভাংচুর করে। খবর পেয়ে রেশমার পিতা আবু তাহের ও ছোট ভাই জহির ঘটনাস্থলে গিয়ে ইকবাল গংদেরকে বাধা দেয়। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আবু তাহের ও জহিরকে এলোপাথারী মারধর করে। ঘটনা শুনে আবু তাহেরের ছেলে ভোলা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টের জারিকারক মোঃ জাকির হোসেন ঘটনাস্থলে গেলে ইকবাল গংরা তাকে হামলা করে। দা, লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আবু তাহের ও জাকিরকে কুপিয়ে জখম করে ইকবাল গংরা। তাদেরকে উদ্ধার করতে জাকিরের মা বিলকিছ বেগম, স্ত্রী শারমিন আক্তার, খালা শামছুন্নাহ এগিয়ে গেলে তাদেরও শ্লীলতাহানীর চেস্টা চালায় ভূূমিদস্যুরা। এসময় হামলাকারীরা সুপারী, ঘরের মালামাল, শারমিনের গলার চেইন, কানের দুল, মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহতদেরকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। খবর পেয়ে ভোলার অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মুহাম্মদ মাহাবুব আলমের নির্দেশে আদালতের একটি প্রতিনিধি দল আহত জাকির হোসেনকে দেখতে হাসপাতালে যায়। এ ঘটনায় ভোলার আদালতে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে মোঃ ইকবাল গংদের সাথে একাধীকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে কাউকে পাওয়া যায়নি।