স্টফ রিপোর্টার।। ভোলায় ১২ নং উওর দিঘলদী ইউনিয়নে জমি সংক্রান্ত বিরোধে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে মোস্তাফিজুর রহমান (৫৫) নামের এক স্কুল শিক্ষক ও তার ছেলে হাসিব গুরুতর আহত হয়।
গত ২১ এপ্রিল রবিবার সকাল ৯টায় ১২ নং উওর দিঘলদী ইউনিয়নে ৩নং ওর্যাড কমরউদ্দিন এলাকার আমানউদ্দিন সিকদার বাড়িতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থা মোস্তাফিজুর রহমান ও তার ছেলে হাসিব কে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত মোস্তাফিজুর ররমান ২২ এপ্রিল বিকাল ৪ টায় ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় এক জনকে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকাল ৯ টায় শামসুদ্দিন সিকদার, জামাল সিকদার,আব্দুল কাদের, আসমা বেগমরা জোর পূর্বক মোস্তাফিজুর রহমান এর জমিতে ঘড় নির্মান করে, এতে মোস্তাফিজুর রহমান বাঁধা দিলে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয় এক পর্যায় তাকে শামসুদ্দিন, জামাল, কাদের ও আসমারা বাঘা দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এতে মোস্তাফিজুর রহমান এর ছেলে হাসিব এসে বাঁধা দিলে তাকেও মারধর করে। স্থানীয়রা আহতদের সদর হাসপাতালে চিকিৎসার নিয়ে আসেন।
নিহত মোস্তাফিজুর রহমান ৭৩ নং পূর্ব উওর দিঘলদী সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ছিলেন।
নিহত মোস্তাফিজুর রহমান এর ভাতিজা হাবিবুর রহমান পার্থা বলেন আমার চাচা মোস্তাফিজুর রহমান এর সাথে শামসুদ্দিন, জামাল, কাদের ও আসমাদের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ ছিলো তা স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারা সালিসে বসে মিমাংসা করার কথা বললে, শামসুদ্দিন, জামাল, কাদের ও আসমারা না মেনে ওই জমিতে ঘর নির্মান করে তাতে চাচা বাধা দিলে চাচার উপর হামলা চালায়। আমরা আমার চাচার হত্যার বিচার চাই ও হত্যা কারিদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
ভোলা সদর মডেল থানার ওসি ছগির মিয়া জানান এ ঘটনা অতি দুঃখ জনক। থানায় ২১ তারিখ একটি সাধারণ ডাইরি করা হয়েছে। এতে শামসুদ্দিন নামে এক জনকে আটক করা হয়েছে, মামলা হলে বাকি ব্যবস্থা নিবো।