শ্বশুরবাড়ির লোকজন সুমিকে মারপিটের খবর পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে হিরো আলমকেও মারপিট করে। এই ঘটনায় হিরো আলম তার শ্বশুর ও স্ত্রীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। স্ত্রীর পরিবার থেকেও হিরো আলমের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হিরো আলমের স্ত্রী সাদিয়া বেগম সুমি জানান, দুই মাস পর গত সোমবার রাতে হিরো আলম বগুড়া শহরতলীর এরুলিয়া গ্রামে তার বাড়িতে আসেন। বাসায় ফেরার পর থেকে বিছানায় শুয়ে একটানা তিন ঘণ্টা মোবাইলে ঢাকার এক নারীর সঙ্গে কথা বলেন।
এর প্রতিবাদ করলে সোমবার রাতেই তাকে মারপিট করেন আলম।
সুমির অভিযোগ, হিরো আলম ঢাকায় দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। এ কারণে বগুড়ায় থাকা স্ত্রী-সন্তানের কোনো খবর রাখেন না। সংসারের খরচ দেন না। এর প্রতিবাদ করায় আগেও তাকে শারীরিক নির্যাতন করেছেন তিনি।
হিরো আলমের শ্বশুর সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর মেয়েকে আবারও নির্যাতন করা হয়েছে, এমন খবর পেয়ে মেয়ের বাড়িতে যাই। সেখানে গিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করে রাতেই হাসপাতালে ভর্তি করি। সুমির মাথার পেছনে রক্তাক্ত জখম হয়েছে।’
হাসপাতালে স্ত্রী ভর্তি হওয়ার খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতেই হিরো আলম বগুড়া সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, স্ত্রীর সঙ্গে দাম্পত্য কলহের জের ধরে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে তার শ্বশুর সাইফুল ইসলাম ও স্ত্রী সাদিয়া বেগম সুমিসহ পাঁচ ব্যক্তি তার বাড়িতে গিয়ে কাঠের ‘বাটাম’ দিয়ে মারপিট করে।
বুধবার সকাল থেকে বক্তব্য জানতে যোগাযোগের জন্য বেশ কয়েকবার চেষ্টা করলে হিরো আলমের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে এরুলিয়া বাজারে অবস্থিত তার অফিসে গিয়ে সেটি বন্ধ দেখা যায়। তার বাড়িতে গিয়েও পাওয়া যায়নি।
বগুড়া সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহিম জানান, মঙ্গলবার রাতে হিরো আলম থানায় হাজির হয়ে তার শরীরে মারপিটের চিহ্ন দেখান। তাকে মারপিট করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে বুধবার সকালে তিনি ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন হিরো আলমও তার স্ত্রীকে মারপিট করেছেন। এ কারণে তার স্ত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।