ভোলায় ন্যাপকিন তৈরী উদ্যোক্তাদের মান উন্নয়নে দিন ব্যাপী প্রশিক্ষন

0
406
sdr

আদিল হোসেন তপু,ভোলা নিউজ২৪ডটনেট ।।স্যানিমার্ট এ্যপ্রোচ,স্বল্প মূল্যে ন্যাপকিন তৈরী উদ্যোক্তাদের মান উন্নয়ন ও কিশোরীদের স্যানেটারী ন্যাপকিন ব্যবহারে বিষয়ক স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভোলায় দিন ব্যাপী প্রশিক্ষন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়ছে।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কোস্ট ট্রস্ট এর সমন্বিত শিশু বিবাহ প্রতিরোধ কর্মসূচী (আইইসিএম) প্রকল্পের আয়োজনে ও ইউনিসেফ এর সহযোগিতায় ভোলার ৩টি স্যানিমার্ট অপরেটর ও কিশোরী ক্লাবের সদস্যরা,ওয়ার্ড প্রেমটর,শিক্ষকদের নিয়ে বরিবার (২৪ফেব্রুয়ারী) ভোলা সদর উপজেলার কোস্ট ট্রাস্ট এর হল রুমে এই প্রশিক্ষন কর্মশালা
অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষন কর্মশালার উদ্ভোধন করেন ও প্রশিক্ষন প্রধান করেন জেলা পাবলিক হেলথ অফিসার (নার্স) মো: আফজাল হোসেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- আইইসিএম প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী মিজানুর রহমান, আইইসিএম প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প সমন্বয়কারী দেবাশীষ মজুমদার,উপজেলা টেনিং এন্ড মনিটরিং অফিসার মনিরুল ইসলাম,এডভোকেসি এন্ড মিডিয়া অফিসার আদিল হোসেন প্রমুখ। প্রশিক্ষনে স্বল্প মূল্যের স্যানিটারী ন্যাপকিন তৈরী করার দক্ষতা বৃদ্ধি, মাসিককালীন ব্যবস্থাপনাও ব্যাক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও কমিউনিটির কিশোরী-নারীদের সঠিকভাবে ্্ ঋতুকালীন স্বাস্থ্যপরিচর্চা করতে উদ্ধুদ্ধ করন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। পাশাপাশি শান্তি স্যানিমার্ট এর মান উন্নয়ন ও স্যানিমার্ট তৈরি করে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসাবে গড়ে তোলার কৌশল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এসময় স্যানিমার্ট বিশেষজ্ঞ ফোরকান এর সাথে ইমুতে কনফারেন্সে স্যানিমার্ট উদ্যোক্তাদের সাথে কথা বলেন।
এসময় বক্তারা বলেন,আমদের দেশের মেয়েরা এখনও নিজের স্বাস্থ্যের বিষয়ে অনেকটাই উদাসীন। বিশেষ করে মফস্বল কিংবা গ্রামঞ্চলগুলোতে মেয়েরা নিজেদের স্বাস্থ্যবিষয়ক কথাবার্তা বলতেও দ্বিধা করে। নিজেদের ব্যাপারে তথ্য জানলেও, সঠিক পদ্ধতি অনেকেই জানেন না। প্রতিমাসে ঋতুস্রাবে আমাদের দেশের মেয়েরা স্যানিটারি ন্যাপকিন অথবা কাপড়ের ন্যাপকিন ব্যবহার করে থাকেন। তাই এখন থেকে যেন মেয়েরা ঋতুস্রাবের সময় সঠিক পদ্ধতি যেনে স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারের করতে উৎসাহী করতে হবে। এর ফলে মেয়েরা অনেক রোগ থেকে রক্ষা পাবে বলে জানান।
উল্লেখ্য ইউনিসেফের সহযোগিতায় ভোলার ২ টি উপজেলায় ৩টি স্যানিমার্ট সেন্টার রয়েছে। এই সব সেন্টারে ক্লাবের কিশোরী মেয়েরাই কাজ করে আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বি ও আত্মনির্ভরশীল হিসাবে গড়ে উঠছে।

LEAVE A REPLY