ভোলা নিউজ২৪ডটনেট।। জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতবিক্ষত উপকূলীয় দ্বীপ ইউনিয়ন ঢালচর। গত কয়েক বছরে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে এখানকার বাসিন্দারা বহুমূখী ক্ষতির মুখে পড়েছে। এখানে বছরে বছরে দুর্যোগের মাত্রা অস্বাভাবিক বেড়েছে। দুর্যোগ থেকে বাঁচিয়ে সুরক্ষিত ঢালচর গড়তে ভাঙন প্রতিরোধে বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগে ঢালচরে জোয়ারের পানি এতটা বাড়ত না, জলোচ্ছ্বাসের প্রভাব এতটা ছিল না। কিন্তু এখন বর্ষাকাল আসতে না আসতেই জোয়ারের পানিতে বিপন্ন হয়ে পড়ে দ্বীপের জনজীবন। ঘূর্ণিঝড় এই দ্বীপের মানুষ আগে এতটা দেখেনি। ঢালচরবাসীর কাছে প্রতীয়মান, দুর্যোগের সময়ের ব্যাপ্তি অনেকখানি বেড়ে গেছে। আগে বছরে ২-৪টি নিন্মচাপ হতো। এখন বছরে অন্তত ১২-১৪বার নি¤œচাপ হয়। আর এটা জনজীবনে, বিশেষ করে জেলেদের জীবনে মারাত্মক বিরূপ প্রভাব ফেলে।
কৃষকেরা জানালেন, এখানকার পানিতে লবণাক্ততাও বেড়েছে। অক্টোবর থেকে মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত লবণ পানির প্রভাব থাকে। এক সময় এই দ্বীপের জমিতে কৃষক ইরি ধান আবাদ করতো। কিন্তু এখন ইরি আবাদ তো দূরের কথা; রবিশস্য পর্যন্ত আবাদ করতে পারেন না কৃষকেরা। ফলে বহু জমি পতিত থেকে যায়। জলবায়ু পরিবর্তনের এই বিরূপ প্রভাবের কারণে অনেক কৃষক জমিতে চাষাবাদ বন্ধ করে দিয়েছে। কৃষিতে নির্ভরশীল মানুষ পেশা বদল করতে বাধ্য হয়েছে। অনেকে মাছ ধরায় বিনিয়োগ করেছে; অনেকে আবার ক্ষুদ্র ব্যবসায় নেমেছেন।
ঢালচরের সমস্যা নিয়ে আলাপ হচ্ছিল ঢালচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুস সালাম হাওলাদারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ঢালচরে সবচেয়ে বড় সমস্যা নদীভাঙন। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভাঙন বেড়েছে বলে আমাদের ধারণা। কারণ আগে আমরা এমন ভাঙন দেখিনি। তবে এই সমস্যার বিপরীতে এই চরেই রয়েছে কয়েক হাজার একর খাসজমি। চরে নেই রাস্তাঘাট, ব্রীজ, কালভার্ট। দুর্যোগপ্রবণ এলাকা হওয়া সত্বেও এখানে নেই আশ্রয়কেন্দ্র। বিপুলসংখ্যক গবাদিপশু থাকলেও এদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই। পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। ভূমিহীন-নিঃস্ব মানুষের জন্য নেই পর্যাপ্ত আবাসন। যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতাও ঢালচরের জন্য অন্যতম প্রধান সমস্যা।
তিনি বলেন, সমস্যাগুলো সমাধানে বিভিন্ন সময়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন জানানো হয়েছে। সমস্যাগুলো লিখিতভাবে তাদের দেওয়া হয়েছে। এতে সমস্যার বিবরণ ও দাবিসমূহ তুলে ধরা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কিছু সমস্যার সমাধান হয়েছে। যেমন, কিছু সংখ্যক নলকূপ বসানো হয়েছে। একটি নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উত্তীর্ণ করা হয়েছে। কিছু রাস্তাঘাট হয়েছে। কিন্তু আমাদের দাবি অনুযায়ী সব বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
প্রশ্নের জবাবে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, বিগত ৪০ বছরের তুলনায় গত পাঁচ বছরে ঢালচর অনেকখানি এগিয়েছে। ৪০ বছরে এখানে তেমন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। কিন্তু পাঁচ বছরে এখানে একটি পাকা বাজার হয়েছিল; ইতিমধ্যে সেটি আবার নদীগর্ভে হারিয়ে গেছে। ৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন হয়েছে। এলজিইডি’র একটি ভবন হয়েছিল; সেটিও নদীগর্ভে। বেশকিছু নলকূপ বসেছে। রাস্তা হয়েছিল; তার মধ্যে অনেকখানি ভেঙে গেছে নদীতে। আগের চেয়ে দ্বীপটির দিকে উপর মহলের নজর বেড়েছে। তবে ভাঙন প্রবণতায় ইউনিয়নের উন্নয়ন ম্লান হয়ে গেছে।
ইউনিয়নের উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনায় প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পাওয়া যায় না উল্লেখ করে ইউপি চেয়ারম্যান জানালেন, হয়তো এটা দ্বীপ বলে কিংবা ভাঙনপ্রবণ এলাকা বলে এখানে কর্তৃপক্ষ বরাদ্দ দিতে চাইছে না। কিন্তু এখানে বরাদ্দ বাড়িয়ে মানুষের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা সম্ভব, এখানকার সম্ভাবনার বিকাশ ঘটানো সম্ভব। অন্যান্য ইউনিয়নের তুলনায় বরাদ্দের ক্ষেত্রে বৈষম্যও লক্ষ্য করা যায়। যেমন, দ্বীপে মোট ১৮০০ জেলে তালিকাভূক্ত থাকলেও সহায়তা আসে মাত্র ৭০০ জনের জন্য। এভাবেই সব ক্ষেত্রেই বরাদ্দ কম দেয়া হয়।
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি কতটা পূরণ করা সম্ভব হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সালাম হাওলাদার বলেন, ইতিমধ্যে নলকূপ স্থাপন, রাস্তা নির্মাণের মত কিছু প্রতিশ্রুতি পূরণ করা সম্ভব হয়েছে। নির্বাচনী ইশতেহারে সবচেয়ে বড় প্রতিশ্রুতি ছিল পতিত খাসজমিতে নিঃস্ব মানুষের পুনর্বাসন করা। ঢালচরের দক্ষিণ-পশ্চিমে কয়েক হাজার একর খাস জমি বন বিভাগের আওতায় রয়েছে। সেখানে কোন বন নেই। বনায়নের সুযোগও নেই। ইতিমধ্যে ওই জমির বয়স প্রায় ৫০ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। আইনি জটিলতার কারণে বন্দোবস্ত দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর মাধ্যমে যোগাযোগের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, চরফ্যাশন উপজেলার মধ্যে ঢালচর ছিল একটি মডেল দ্বীপ। কিন্তু গত কয়েক বছরে ভাঙনের তীব্রতা অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় দ্বীপের সে ঐতিহ্য হারিয়ে গেছে। বিপুল পরিমাণ পতিত খাসজমি দ্বীপে আশার আলো জে¦লে রেখেছে। খাসজমিতে ভূমিহীনদের পুনর্বাসন করা সম্ভব হলে, ভাঙন প্রতিরোধের জন্য চারদিকে বেড়িবাঁধ দেওয়া হলে ঢালচর আবার সেই হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে। দ্বীপবাসীর জীবনযাপনে ফিরবে নিশ্চয়তা।
ঢালচরের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, এখানে রয়েছে বিপুল সম্ভাবনা। তারুয়া সৈকতসহ ঢালচরের একাধিক সমুদ্র সৈকত ঘিরে গড়ে উঠতে পারে পর্যটন কেন্দ্র। শুধুমাত্র যোগাযোগ সমস্যার কারণে এখানে পর্যটকেরা অনায়াসে যাতায়াত করতে পারেন না। দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমে সমুদ্রের বুকে জেগে উঠছে আরেক বাংলাদেশ। এসব সম্ভাবনা বিকাশের উদ্যোগ নেওয়া হলে গোটা অঞ্চলের চিত্র বদলে যাবে। সরকারও এ থেকে পাবে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। এ বিষয়ে এলাকার সাংসদ মহোদয় এবং জেলা-উপজেলা প্রশাসন বরাবরে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
দ্বীপ ইউনিয়ন ঢালচরকে সমৃদ্ধশালী করতে এখানকার পতিত খাসজমি ভূমিহীনদের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়ার দাবি তোলেন ইউপি চেয়ারম্যান। একইসঙ্গে দ্বীপের ভেতর দিয়ে একটি খাল খননের দাবি তার। তিনি বলেন, ঢালচরের চারিদিকে বেড়িবাঁধ দিতে হবে। সেইসঙ্গে মূলভূখন্ডের সঙ্গে ঢালচরের যোগাযোগ ব্যবস্থার আরও উন্নয়ন ঘটাতে হবে। আর তাহলেই ঢালচর হয়ে উঠবে সমৃদ্ধশালী দ্বীপ।
কৃষকেরা জানালেন, এখানকার পানিতে লবণাক্ততাও বেড়েছে। অক্টোবর থেকে মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত লবণ পানির প্রভাব থাকে। এক সময় এই দ্বীপের জমিতে কৃষক ইরি ধান আবাদ করতো। কিন্তু এখন ইরি আবাদ তো দূরের কথা; রবিশস্য পর্যন্ত আবাদ করতে পারেন না কৃষকেরা। ফলে বহু জমি পতিত থেকে যায়। জলবায়ু পরিবর্তনের এই বিরূপ প্রভাবের কারণে অনেক কৃষক জমিতে চাষাবাদ বন্ধ করে দিয়েছে। কৃষিতে নির্ভরশীল মানুষ পেশা বদল করতে বাধ্য হয়েছে। অনেকে মাছ ধরায় বিনিয়োগ করেছে; অনেকে আবার ক্ষুদ্র ব্যবসায় নেমেছেন।
ঢালচরের সমস্যা নিয়ে আলাপ হচ্ছিল ঢালচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুস সালাম হাওলাদারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ঢালচরে সবচেয়ে বড় সমস্যা নদীভাঙন। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভাঙন বেড়েছে বলে আমাদের ধারণা। কারণ আগে আমরা এমন ভাঙন দেখিনি। তবে এই সমস্যার বিপরীতে এই চরেই রয়েছে কয়েক হাজার একর খাসজমি। চরে নেই রাস্তাঘাট, ব্রীজ, কালভার্ট। দুর্যোগপ্রবণ এলাকা হওয়া সত্বেও এখানে নেই আশ্রয়কেন্দ্র। বিপুলসংখ্যক গবাদিপশু থাকলেও এদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই। পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। ভূমিহীন-নিঃস্ব মানুষের জন্য নেই পর্যাপ্ত আবাসন। যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতাও ঢালচরের জন্য অন্যতম প্রধান সমস্যা।
তিনি বলেন, সমস্যাগুলো সমাধানে বিভিন্ন সময়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন জানানো হয়েছে। সমস্যাগুলো লিখিতভাবে তাদের দেওয়া হয়েছে। এতে সমস্যার বিবরণ ও দাবিসমূহ তুলে ধরা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কিছু সমস্যার সমাধান হয়েছে। যেমন, কিছু সংখ্যক নলকূপ বসানো হয়েছে। একটি নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উত্তীর্ণ করা হয়েছে। কিছু রাস্তাঘাট হয়েছে। কিন্তু আমাদের দাবি অনুযায়ী সব বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
প্রশ্নের জবাবে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, বিগত ৪০ বছরের তুলনায় গত পাঁচ বছরে ঢালচর অনেকখানি এগিয়েছে। ৪০ বছরে এখানে তেমন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। কিন্তু পাঁচ বছরে এখানে একটি পাকা বাজার হয়েছিল; ইতিমধ্যে সেটি আবার নদীগর্ভে হারিয়ে গেছে। ৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন হয়েছে। এলজিইডি’র একটি ভবন হয়েছিল; সেটিও নদীগর্ভে। বেশকিছু নলকূপ বসেছে। রাস্তা হয়েছিল; তার মধ্যে অনেকখানি ভেঙে গেছে নদীতে। আগের চেয়ে দ্বীপটির দিকে উপর মহলের নজর বেড়েছে। তবে ভাঙন প্রবণতায় ইউনিয়নের উন্নয়ন ম্লান হয়ে গেছে।
ইউনিয়নের উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনায় প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পাওয়া যায় না উল্লেখ করে ইউপি চেয়ারম্যান জানালেন, হয়তো এটা দ্বীপ বলে কিংবা ভাঙনপ্রবণ এলাকা বলে এখানে কর্তৃপক্ষ বরাদ্দ দিতে চাইছে না। কিন্তু এখানে বরাদ্দ বাড়িয়ে মানুষের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা সম্ভব, এখানকার সম্ভাবনার বিকাশ ঘটানো সম্ভব। অন্যান্য ইউনিয়নের তুলনায় বরাদ্দের ক্ষেত্রে বৈষম্যও লক্ষ্য করা যায়। যেমন, দ্বীপে মোট ১৮০০ জেলে তালিকাভূক্ত থাকলেও সহায়তা আসে মাত্র ৭০০ জনের জন্য। এভাবেই সব ক্ষেত্রেই বরাদ্দ কম দেয়া হয়।
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি কতটা পূরণ করা সম্ভব হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সালাম হাওলাদার বলেন, ইতিমধ্যে নলকূপ স্থাপন, রাস্তা নির্মাণের মত কিছু প্রতিশ্রুতি পূরণ করা সম্ভব হয়েছে। নির্বাচনী ইশতেহারে সবচেয়ে বড় প্রতিশ্রুতি ছিল পতিত খাসজমিতে নিঃস্ব মানুষের পুনর্বাসন করা। ঢালচরের দক্ষিণ-পশ্চিমে কয়েক হাজার একর খাস জমি বন বিভাগের আওতায় রয়েছে। সেখানে কোন বন নেই। বনায়নের সুযোগও নেই। ইতিমধ্যে ওই জমির বয়স প্রায় ৫০ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। আইনি জটিলতার কারণে বন্দোবস্ত দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর মাধ্যমে যোগাযোগের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, চরফ্যাশন উপজেলার মধ্যে ঢালচর ছিল একটি মডেল দ্বীপ। কিন্তু গত কয়েক বছরে ভাঙনের তীব্রতা অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় দ্বীপের সে ঐতিহ্য হারিয়ে গেছে। বিপুল পরিমাণ পতিত খাসজমি দ্বীপে আশার আলো জে¦লে রেখেছে। খাসজমিতে ভূমিহীনদের পুনর্বাসন করা সম্ভব হলে, ভাঙন প্রতিরোধের জন্য চারদিকে বেড়িবাঁধ দেওয়া হলে ঢালচর আবার সেই হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে। দ্বীপবাসীর জীবনযাপনে ফিরবে নিশ্চয়তা।
ঢালচরের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, এখানে রয়েছে বিপুল সম্ভাবনা। তারুয়া সৈকতসহ ঢালচরের একাধিক সমুদ্র সৈকত ঘিরে গড়ে উঠতে পারে পর্যটন কেন্দ্র। শুধুমাত্র যোগাযোগ সমস্যার কারণে এখানে পর্যটকেরা অনায়াসে যাতায়াত করতে পারেন না। দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমে সমুদ্রের বুকে জেগে উঠছে আরেক বাংলাদেশ। এসব সম্ভাবনা বিকাশের উদ্যোগ নেওয়া হলে গোটা অঞ্চলের চিত্র বদলে যাবে। সরকারও এ থেকে পাবে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। এ বিষয়ে এলাকার সাংসদ মহোদয় এবং জেলা-উপজেলা প্রশাসন বরাবরে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
দ্বীপ ইউনিয়ন ঢালচরকে সমৃদ্ধশালী করতে এখানকার পতিত খাসজমি ভূমিহীনদের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়ার দাবি তোলেন ইউপি চেয়ারম্যান। একইসঙ্গে দ্বীপের ভেতর দিয়ে একটি খাল খননের দাবি তার। তিনি বলেন, ঢালচরের চারিদিকে বেড়িবাঁধ দিতে হবে। সেইসঙ্গে মূলভূখন্ডের সঙ্গে ঢালচরের যোগাযোগ ব্যবস্থার আরও উন্নয়ন ঘটাতে হবে। আর তাহলেই ঢালচর হয়ে উঠবে সমৃদ্ধশালী দ্বীপ।