গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ ঐক্যফ্রন্টকে

0
277

ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট।। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের বরাবর পাঠানো হয়েছে এই আমন্ত্রণপত্র। তবে সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা না থাকায় প্রধানমন্ত্রীর এই আমন্ত্রণে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতারা যাচ্ছেন না বলে কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি ও ফ্রন্টের অন্যতম নেতা সুব্রত চৌধুরী।

গতকাল শনিবার তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা দাওয়াত কার্ড পেয়েছি। আমাদের দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। তবে আমরা যাচ্ছি না।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কিসের দাওয়াত, কী জন্য দেওয়া হয়েছে তা তো জানি না। পিঠাপুলি খাওয়ার জন্য মনে হয় ডেকেছেন।’

ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে জানা গেছে, গত ১৩ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশের সব রাজনৈতিক দলকে সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ঐক্যফ্রন্ট, যুক্তফ্রন্টসহ ৭৫টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে গণভবনে সংলাপ হয়েছিল। এখন নির্বাচন শেষ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে আবার আমন্ত্রণ জানাবেন। তাদের সঙ্গে কিছু মতবিনিময় করবেন এবং তাদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা থাকবে। তারই অংশ হিসেবে এই দাওয়াত কার্ড পাঠানো হয়েছে।

গত ১৫ জানুয়ারি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিএনপির অসুস্থ এক কর্মীকে দেখতে গিয়ে ফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিলের এজেন্ডা থাকলে আমরা সংলাপে যাব, না হলে যাব না। এটাই ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির সিদ্ধান্ত।’

জানা গেছে, দাওয়াত কার্ডে মতবিনিময় ও আপ্যায়নের কথা উল্লেখ রয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনাসহ কোনো সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা নেই। তাই ফ্রন্ট নেতারা এতে অংশ না নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন।

সুব্রত চৌধুরী কালের কণ্ঠকে আরো বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আমরা একটু আস্থা রেখেছিলাম বঙ্গবন্ধুকন্যার প্রতি। কিন্তু সে আস্থাটুকুও হারিয়ে ফেলেছি। তিনি (শেখ হাসিনা) বলেছিলেন, এটা হবে, ওটা হবে, আমার অধীনে একটা নির্বাচন করে দেখেন, দেখিয়ে দেব। এখন এই দাওয়াতে কী হবে? যেখানে নির্বাচন নিয়ে আলোচনার কোনো এজেন্ডা নেই।’

LEAVE A REPLY