অদিল হোসেন তপু।।
ভোলা লালমোহনের চরভূতা ইউপিতে শুক্রবার রাতে দুর্বৃত্বের আগুনে দগ্ধ হয়ে শিশুসহ দুজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- সুরমা আক্তার ও তার বোনের মেয়ে খাদিজা। সুরমা উপজেলার দেউলা গ্রামের রফিকের স্ত্রী। এ ঘটনায় আহত অংকুরাকে বরিশাল মেডিকেল কলেজে হাসপাতাল বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
নিহতের মেজ বোন শাহিনুর ও ভাই মহিউদ্দিন বলেন, বোন অংকুরা বেগমের বাড়ি বেড়াতে আসেন সুরমা। রাতে খাবার খেয়ে ঘরের সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। ভোরে দুর্বৃত্তরা ঘরে আগুন দেয়। আগুন মুহূর্তের মধ্যে চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে চিৎকারে স্থানীয়রা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু ততক্ষণে পুড়ে মারা যান সুরমা বেগম। এ ঘটনায় আহত হন অংকুরা ও তার মেয়ে খাদিজা। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে ভোলা এবং পরে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খাদিজা মারা যায়।
এদিকে হাসপাতালে ভর্তি অংকুরার অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তার মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ পুড়ে গেছে।
লালমোহন থানার ওসি মীর খায়রুল কবির বলেন, নিহতের পরিবারের অভিযোগ সুরমার স্বামী রফিক এ আগুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। কারণ যৌতুক নিয়ে সুরমার সঙ্গে তার স্বামীর দীর্ঘদিন ধরে ঝগড়া-বিবাদ চলছিল। তবে রাতের আঁধারে কেউ ঘাতকদের দেখতে পায়নি। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সুরমার ছয়মাস আগে রফিকের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে সুরমার বনিবনা হচ্ছিল না। তাদের সঙ্গে প্রায় ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকত। এ নিয়ে বিচার সালিশও হয়। দশদিন আগে সুরমাকে রেখে তার স্বামী চলে যায়। সে বড় বোন আংকুরার বাড়িতে উঠে। সেখানে এ ঘটনা ঘটে।