ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট ।। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির যেসব প্রার্থীর জয়ের সম্ভাবনা বেশি তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেপ্তার করছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এই অভিযোগ করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা অত্যন্ত উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ করছি যে, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করার পরে এবং প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেওয়ার পরেও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মিথ্যা গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার এবং জামিন প্রদান না করার প্রবণতা আরো বেড়েছে। বিশেষ করে আসন্ন নির্বাচনে বিরোধী দলের যে সব প্রার্থীর জয় লাভের সম্ভাবনা বেশি তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আটক করা হচ্ছে এবং জামিন দেওয়া হচ্ছে না। নিম্ন আদালতে তাদের জামিন শুনতে নানা বিলম্ব করা হচ্ছে। এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে এবং নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা হচ্ছে না।
মির্জা ফখরুল বিবৃতিতে বলেন, সরকারি দলকে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য এই গ্রেপ্তার, আটক ও হয়রানি চলছে। টেলিফোনে বিভিন্ন সংস্থার নামে হুমকি দেওয়া হচ্ছে এবং কোনো কোনো বিশেষ প্রার্থীকে ডেকে নিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে এবং চাঁদা দাবি করা হচ্ছে। এটাতে নির্বাচনের সব পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এই ঘটনাগুলোতে প্রমাণিত হয় না যে, এই সরকার এবং নির্বাচন কমিশন একটা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে আন্তরিক।
বিবৃতিতে বলা হয়, বিরোধী দলের অসংখ্য নেতাকর্মী মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক। বিশেষ করে বিরোধী দলের নেতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জামিন পাওয়ার পরেও অন্যায়ভাবে মুক্ত করা হচ্ছে না। একটার পর একটা মিথ্যা মামলা দেওয়ার পর বিলম্ব করা হচ্ছে। সিনিয়র নেতা সাবেক হুইপ, সংসদ সদস্য মুনিরুল হক চৌধুরী, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরী ও হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ আরো অনেক নেতৃবৃন্দকে আটক করে রাখা হয়েছে। এটা অবাধ, সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনের জন্য অনুকুল নয়। নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন ও সরকারের এবং এর দায়-দায়িত্ব তাদের ওপরই বর্তায়।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ আটককৃত সব নেতৃবৃন্দকে মুক্তি প্রদানের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।