বরিশাল প্রতিনিধি,ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট ।। কার্গোর সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে বরগুনা থেকে ঢাকাগামী ‘শাহরুখ-১ লঞ্চটির তলা ফেটে গিয়ে অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রীদের কারনে। একপর্যায়ে লঞ্চটি বরিশাল নৌ বন্দরে নোঙর করে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি লঞ্চটির যাত্রাও স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কর্মকর্তারা।
গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টায় ঝালকাঠির গাবখান চ্যানেলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে যাত্রীদের চাপে রাত ১০টায় বরিশাল নদী বন্দরে লঞ্চটি নোঙর করা হয়।
যাত্রীরা জানান, ঝালকাঠির গাবখান চ্যানেলে রাত ৮টার দিকে ‘শাহরুখ-১’ লঞ্চটির সঙ্গে কার্গোর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় লঞ্চটির তলা ফেটে ভিতরে পানি প্রবেশ করতে থাকে। কিন্তু সেসময় যাত্রীরা অনেকবার লঞ্চটির মাস্টারকে নোঙর করতে বললেও তিনি তা শুনেননি।
যাত্রীদের অভিযোগ, প্রথম থেকেই সার্চলাইট না জ্বালিয়ে বেপরোয়াভাবে লঞ্চ চালাচ্ছিলেন মাস্টার। একপর্যায়ে যাত্রীরা চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে মাস্টার বাধ্য হয়ে বরিশাল নদী বন্দরে লঞ্চটি নোঙর করেন। পরে যাত্রীরা নেমে যান। পরে বিআইডব্লিউটিএ, নৌ পুলিশ ও থানা পুলিশ লঞ্চটির যাত্রা স্থগিতের নির্দেশ দেন।
‘শাহরুখ-১’ লঞ্চের মাস্টার উজির আলী বলেন, ‘কার্গোর সঙ্গে সংঘর্ষে লঞ্চটির তলায় সামান্য অংশ ফেটে গিয়েছিল। এতে কোনো সমস্যা হত না। তবে যাত্রীদের কারণে লঞ্চ নোঙর করা হয়েছে।’
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার বলেন, নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের শিপ সার্ভেয়াররা লঞ্চটি পর্যবেক্ষণ করছেন। পূর্ণাঙ্গ সার্ভে না করা পর্যন্ত লঞ্চটিকে যাত্রার জন্য উপযোগী বলা যাচ্ছে না। তাই লঞ্চটির যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি যেকোনো অবস্থাতেই লঞ্চটিকে বরিশাল নদী বন্দর থেকে অন্য কোথাও না নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লঞ্চটি এই অবস্থায় চললে মেঘনা নদীতে গিয়ে বড় দুর্ঘটনার মুখে পড়তে পারত।
এ ছাড়া যাত্রীদের ব্যাপারে উপ-পরিচালক বলেন, বিকল্প লঞ্চ না আসা পর্যন্ত অর্থাৎ বুধবার সকাল পর্যন্ত যাত্রীদের বন্দরে অথবা লঞ্চে অবস্থান নিতে হবে। এক্ষেত্রে নৌ পুলিশ ও থানা পুলিশ নিরাপত্তার জন্য সারারাত বন্দরেই থাকবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।