মো: আফজাল হোসেন ।। ভোলাকে পর্যটন ও শিল্প নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে ৯৪ কিলোমিটার সড়ক আর্দশ লেনে ( দ্ব্গিুন চওড়া) উন্নীত করা হচ্ছে। একনেকে ৮৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। মঙ্গলবার বিকেলে এমন খবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রকল্পের উদ্যোক্তা সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শহরে আনন্দ মিছিল করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।
ভোলার সদর থেকে চরফ্যাশন বাবুরহাট পর্যন্ত বর্তমানে ১৮ফুট চওড়া সড়ক রয়েছে। যা আদর্শ লেনে প্রায় দ্বিগুন হচ্ছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনশুরু হয় প্রশস্ত করার উদ্যোগ। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ১২ ফুট চওড়া টেকসই পাকা সড়ক নির্মানের উদ্যোগ নেন ওই সময়ের বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব তোফায়েল আহমেদ। পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালে সড়কটি ১৮ফুটে উন্নীত হয়। বর্তমানে তোফায়েল আহমেদের প্রচেষ্টায় এটি আর্দশ দুই লেনে প্রশস্ত করার প্রস্তাব গ্রহণ করে সড়ক বিভাগ। গ্যাস সমৃদ্ধ জেলার গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে সড়ক পথে ভোলা-ঢাকা, ভোলা-চট্টগ্রাম বাস চলাচল শুরু হয়েছে। দেশের দক্ষিণ পূবাঞ্চলের মধ্যে সহজ যোগযোগ স্থাপনের জন্য ভোলা ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। বর্তমানে সময় দাবি ভোলা-বরিশাল ব্রিজ নির্মান। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির ওই ব্রিজ নির্মানের জন্য ইতিমধ্যে অর্থনৈতিক সমীক্ষাসহ প্রাথমিক সকল কাজ শেষ হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে আগামী বছরই ব্রিজ নির্মানের কাজ শুরু হচ্ছে বলে জানান, সেতু মন্ত্রনালয়ের সচিব মোঃ বেলায়েত হোসেন।
ভোলার সদক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পঙ্কজ ভৌমিক জানান,যোগযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য জেলার প্রধান সড়কটিকে আর্দশ লেনে পরিনত করা হচ্ছে। বরিশাল-ভোলা সদকের পরাণগঞ্জ থেকে জেলা সদর হয়ে বোরহানউদ্দিন, লালমোহন উপজেলার উপরদিয়ে চরফ্যাশনের বাবুরহাট পর্যন্ত ৯৪ কিলোমিটার সড়ক এই প্রকল্পের আওতায় থাকছে।
এদিকে মঙ্গলবার একনেকের বৈঠকে প্রকল্প বাস্তবায়নে ৮৫০ কোটি টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়। এমন খুশির খবরে বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিদের নেতৃত্বে প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করা হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জেলা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবদুল মমিন টুলু, উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মোশারফ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জহরুল ইসলাম নকিব,পৌর প্যানেল মেয়র শাহে আলম প্রমুখ।