সোহেব চৌধুরী,চরফ্যাশন প্রতিনিধি,ভোলা নিউজ২৪ডটনেট।।ভোলার চরফ্যাসনে বাস মালিক সোহাগ ভুইয়া (৩৫)কে হত্যার ঘটনায় চরফ্যাশন থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিহতের স্ত্রী নাসিমা বাদি হয়ে দুজনকে আসামী করে এ মামলা দায়ের করেন। এঘটনায় পুলিশ নিহত সোহাগের শ্যালক জিয়াউর রহমনাকে গ্রেফতার করেছেন। অপর আসামী হলেন নিহত সোহাগের মালিকানাধীন রাহাত এন্টার প্রাইজ বাসের ড্রাইভার আলামিন । তিনি বোরহানউদ্দিন উপজেলার খায়েরহাট এলাকার ঝান্টু মিয়ার ছেলে। নিহত বাস মালিক সোহাগ ভূঁইয়া উপজেলার আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড চর শিবা গ্রামের মৃত আবদুল বারেক ভূঁইয়ার ছেলে।
নিহতের স্ত্রী নাসিমা এজহারে উল্লেখ করেন, তার স্বামীর বাসের (রাহাদ এন্টারপ্রাইজ) সুপারভাইজার হিসেবে তার ভাই জিয়াউর রহমান নিয়োজিত ছিলো । বাসে যাত্রীদের সাথে অনৈতিক কাজের অভিযোগে কয়েকদিন পুর্বে জিয়াউর রহমানকে স্বামী সোহাগ ভূঁইয়া চাকুরী থেকে বের করে দেন। এঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে তার ভাই এবং ড্রাইভার মিলে তার স্বামীকে হত্যা করেছে । ঘটনার দিন সোমবার বিকাল ৩টায় তার স্বামী ট্রিপ নিয়ে ভোলা যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। বিকেল ৪.২০ মি, নিহতের মালিকানাধীন রাহাদ এন্টারপ্রাইজ বাসটি যাত্রী নিয়ে চরফ্যাসন বাসস্ট্যান্ড থেকে ভোলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এবং নিজ মালিকানাধীন রাহাত এন্টারপ্রাইজ বাস নিয়ে ভোলা যাওয়ার পরে রাত ৮টায় স্ত্রীর সাথে শেষ বার ফোনে কথা হয়। সে বাড়িতে চলে আসবে বলে স্ত্রীকে জানান। এর পর থেকে তাকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি। তার স্বামীকে পরিকল্পিত হত্যা কান্ডের ঘটনায় তিনি তার ভাই জিয়াউর রহমান ও রাহাত এন্টার প্রাইজের ড্রাইভার আলামিনকে আসামী করে চরফ্যাস থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
চরফ্যাসন থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুল আরেফিন বলেন, চরফ্যাসন বাসস্ট্যান্ডে পার্কিংয়ে থাকা হাজি কে আলী এন্টারপ্রাইজ যাত্রীবাহী বাসের ছাদে একটি লাশ আছে-এমন খবর পেয়ে রাত ১১ টার পর চরফ্যাসন থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। নিহতের মাথায় এবং গলায় ক্ষতচিহ্ন আছে। মঙ্গলবার সকালে ভোলায় ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় নিহত সোহাগের স্ত্রী বাদি হয়ে তার ভাই জিয়াউর রহমানসহ দুজনকে আসামী করে একটি হত্যা মামালা দায়ের করেছেন। পুলিশের তদন্ত অব্যাহত আছে।