ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট ।। সাকিব আল হাসান আর মুশফিকুর রহিমের জুটিটা আশা দেখাতে দেখাতেই বিচ্ছিন্ন। ফিরেছেন সাকিব। ২৪ রানে। এবার অবশ্য নাথান লায়ন নন, আঘাত হানলেন অ্যাশটন অ্যাগার। উইকেটের পেছনে ম্যাথু ওয়েডকে ক্যাচ দিয়েছেন ঢাকা টেস্টের ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’। এই প্রতিবেদন লেখার সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১২৮। মুশফিকুর রহিম অপরাজিত আছেন ১৯ রানে। সাকিবের বিদায়ের পর উইকেটে এসেছেন সাব্বির রহমান।
মধ্যাহ্ন বিরতির আগে ৩৩ রানে ফিরেছিলেন সৌম্য সরকার। বিরতির পর ৩১ রান করে আউট মুমিনুল হক। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের কাছে এই মুহূর্তে ‘আতঙ্ক’ অস্ট্রেলীয় অফস্পিনার নাথান লায়ন। এখন পর্যন্ত পতন হওয়া ৪ উইকেটই নিজের করে নিয়েছেন তিনি। প্রথমে তামিমকে তুলে নিয়ে ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করেছিলেন। ইমরুল ও সৌম্যর পর তুলে নিলেন মুমিনুলকেও। চার ব্যাটসম্যানকেই তিনি আউট করেছেন এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে। ১৯৩৮ সালের পর এই প্রথম স্পিনার হিসেবে টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বোলিংয়ের শুরুটা করেছেন এই লায়ন।
শুরুর বিপর্যয় সামলে সৌম্য সরকার আর মুমিনুল হক খেলছিলেন ভালোই। ৪৯ রানের জুটি গড়ে প্রায় জমে গিয়েছিলেন উইকেটে। কিন্তু নাথান লায়নের বলে মধ্যাহ্ন বিরতির ঠিক আগে এলবিডব্লু সৌম্য। তাঁর বিদায়ে ৩ উইকেটে ৭০ রান নিয়ে প্রথম সেশন শেষ করেছিল বাংলাদেশ।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে চট্টগ্রাম টেস্টের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি বাংলাদেশের। লায়নের বলেই প্রথমে ফেরেন তামিম ইকবাল, এরপর ইমরুল। দুজনই আউট হয়েছেন এলবির ফাঁদে পড়ে। এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার সব সাফল্যই নিজের করে নিয়েছেন লায়ন।
দলীয় ১৩ রানের মাথায় লায়নের বলে এলবির ফাঁদে পড়েন তামিম। এরপর ২১ রানে ইমরুল। লায়নের বলে সুইপ করতে গিয়েই নিজের বিপদ ডেকে আনেন ইমরুল। তাঁর বিরুদ্ধে এলবিডব্লুর আবেদন প্রথমে নাকচ করে দিয়েছিলেন আম্পায়ার নাইজল লং। কিন্তু রিভিউ নিয়ে সফল হন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ।
শুরু থেকেই তামিম ইকবালকে মোটেও স্বাচ্ছন্দ্য মনে হচ্ছিল না। প্যাট কামিন্সের অফ স্টাম্পের ওপর করা বলগুলোতে পরাস্ত হয়েছেন বেশ কয়েকবার। একবার তো কামিন্সের বলে খোঁচা দিয়েও ভাগ্যের জোরে বেঁচে যান। স্লিপে দাঁড়িয়ে তাঁর ক্যাচ ফেলে দেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না। নাথান লায়নের বলে এলবিডব্লু হয়ে ফিরলেন ড্রেসিংরুমে। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একেবারেই ভালো হলো না বাংলাদেশের। তামিম আউট হয়েছেন ৯ রানে, ইমরুল ৪ রানে।
এখন পর্যন্ত চার বোলার ব্যবহার করেছে অস্ট্রেলিয়া—প্যাট কামিন্সের সঙ্গে তিন স্পিনার, নাথান লায়ন, স্টিভ ও’কিফ আর অ্যাশটন অ্যাগার।