ভোলা নিউজ ২৪ডটনেট : মানুষ সেলফি তোলেন শখে। আর সেই শখের এবার চড়া মূল্য দিতে হচ্ছে মিস ইরাক সুন্দরী সারাহ ইদানকে। বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় মিস ইসরায়েলের সঙ্গে সেলফি তোলার কারণে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে ইরাকি সুন্দরী ও তাঁর পরিবারকে। এ কারণে তাঁরা দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় মিস ইসরায়েল অ্যাডার গেন্ডেলসম্যানের সঙ্গে একটি সেলফি তোলেন ২৭ বছর বয়সী সারাহ। ইনস্টাগ্রামে ছবিটি পোস্ট করার পর তা ভাইরাল হয়ে যায়। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা ছবিটির ক্যাপশনে লেখা ছিল, ‘মিস ইরাক ও মিস ইসরায়েলের পক্ষ থেকে শান্তি ও ভালোবাসা’। এই সেলফি তোলার কারণে ইরাকি সুন্দরী সারাহ ইদানের পরিবারকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরাক ইসরায়েলকে স্বীকার করে না। এ ছাড়া দেশ দুটির মধ্যে কোনো ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্কও নেই।
একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ২০ বছর বয়সী মিস ইসরায়েল অ্যাডার গেন্ডেলসম্যান বলেন, ভাইরাল হওয়া ছবিটির কারণেই ইদান ও তাঁর পরিবার হয়রানির শিকার হয়েছেন। মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় বিকিনি পরে ছবি তোলার কারণেই এই হয়রানি।
মিস ইরাক সারাহ ইদান ও মিস ইসরায়েল অ্যাডার গেন্ডেলসম্যানের এই সেই সেলফি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া
ইসরায়েলের সুন্দরী বলেন, ইদান যদি ছবিটি সরিয়ে না নেন, তাহলে তাঁরা (ইরাকের জনগণ) হুমকি দেন যে ইদানের মিস ইরাক খেতাব বাতিল করা হবে এবং পরিবারসহ তাঁকে হত্যা করা হবে। এসব কারণে ভয়ে ইদান ও তাঁর পরিবার ইরাক ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
মিস ইসরায়েল বলেন, গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের লাসভেগাসে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার সময় এক বৈঠক শেষে তিনি মিস ইরাক ইদানের সঙ্গে দেখা করেন। সেই সময় ওই সেলফিটি তোলা হয়। তিনি আরও বলেন, ইনস্টাগ্রামে ছবিটি পোস্ট করায় কোনো অনুশোচনা নেই বলে জানিয়েছেন ইদান।
গতকাল শুক্রবার এক টুইট বার্তায় মিস ইরাক সারাহ ইদান নিশ্চিত করেছেন, তিনি ও তাঁর পরিবার খুব বিপদের মুখে আছেন। তিনি বলেছেন, ‘ছবিটি কোনোভাবেই ইসরায়েলের সরকার ও নীতির প্রতি আমার সমর্থন প্রকাশ করে না। তারপরও এই ছবি দেখে যাঁরা আঘাত পেয়েছেন, আমি তাঁদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। ছবিটি প্রকাশ করার উদ্দেশ্য কাউকে আঘাত করা নয়।’
সারাহ ইদানের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ইরাকের বাগদাদে। ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে হামলা চালালে তিনি মার্কিন সেনার পক্ষে কাজ করেন। পরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। এখন তাঁর পরিবারের সদস্যরাও সেখানে চলে গেলেন।