শিশুরা ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত হলে অনৈতিক কোন কাজে জড়িত হবে না ঃ জেলা প্রশাসক

0
436

গোপাল চন্দ্র দে  : ভোলায় মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম ৫ম পর্যায়ের আয়োজনে হিন্দু ধর্মীয় কল্যান ট্রাস্ট, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম কেন্দ্রগুলোতে অনুষ্ঠিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও উত্তম শিক্ষক/শিক্ষার্থী পুরষ্কার ২০১৭ পুরষ্কার বিতরন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৬ আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) সকালে ভোলা জেলা প্রশাসক এর কার্যালয়ের হলরুমে এ পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠিত হয়।

পুরষ্কার বিতরনের পূর্বে শিক্ষক শিক্ষার্থী ও আগত অভিভাবকদের উদ্দ্যেশে মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম কার্যক্রম ৫ম পর্যায়ের ভোলা জেলা সহকারী প্রকল্প পরিচালক মো: নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ভোলা জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক। এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ভোলা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দুলাল চন্দ্র ঘোষ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ আহবায়ক অবিনাশ নন্দী, ভোলা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সম্পাদক ও ওয়ার্ল্ড হিন্দু ফেডারেশনের ভোলা প্রতিনিধি বাবু গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম ৫ম পর্যায়ের বরিশাল বিভাগীয় ট্রেইনার নিপুন মন্ডল, সাংবাদিক কান্তিলাল গাঙ্গুলি সহ মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম কেন্দ্রের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকবৃন্দ।
এসময় প্রধান অথিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, আজকের এ শিশুরাই হবে আগামী দিনে দেশের কর্নধার। দেশ গড়ার কারিগর। শিশুরা হলো মাটির মত যা শেখাবেন তাই শেখবে। তাই তাদেরকে সঠিকভাবে ধর্মীয় শিক্ষাসহ গড়ে তুলতেই সরকারের এ শিশু ও গণশিক্ষা কেন্দ্রের উদ্যোগ। তাদের ছোটবেলা থেকেই আপনাদের তাদের মধ্যে ধর্মীয় শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে হবে। ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত হলে কেউ আর কোন প্রকারের হানাহানি, মারামারি, সস্ত্রাস, জঙ্গীবাদ এ জড়াবে না ভবিষ্যতে।
আলোচনা সভা শেষে অতিথিরা পুরষ্কার তুলে দেন শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের হাতে। শিক্ষার্থী ও প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহনকারী অভিভাবদের হাতে।

LEAVE A REPLY