লালমোহনের ইউপি চেয়ারম্যান মুরাদের বিরুদ্ধে কৃষককে প্রকাশ্যে মারধোরের অভিযোগ

0
51

মোঃ আফজাল হোসেন ॥ ভোলার লালমোহনে ইউপি চেয়ারম্যান হিসিবে দায়িত্ব নেয়ার দুই মাস না যেতেই সালিশের নামে কৃষক আবুল কালামকে প্রকাশ্যে বেদম মারধর করার অভিযোগ ওঠেছে ফরাশগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান ফরাদ হোসেন মুরাদের বিরুদ্ধে।পরিবারের সদস্যরা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করলে পুলিশ আবুল কালামকে উদ্ধার করেন।প্রভাবশালী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা নিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন লালমোহন থানার ওসি বলে নির্যাতিতদের অভিযোগ করেন।

গতকাল রোববার বিকালে ভোলা প্রেসক্লাবে নির্যাতনের স্বিকার কৃষক আবুল কালামসহ তার পরিবার এর সদস্যরা সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন।বাবার নির্যাতনের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তারই দুই মেয়ে সীমা আক্তার,রাজিয়া সুলতানা মুন্নি। তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে বাবাকে প্রকাশ্যে মারধোর করার জন্য চেয়ারম্যানের বিাচঁর দাবী করেন। সাংবাদকিদরে আবুল কালাম আজাদের মেয়েদের বিরুদ্ধে এবং সাংবাদকিদরে নিয়ে অরুচিকর পোস্ট দেয়ার বিচাঁর দাবী করেন তারা।তারা বলেন,থানা পুলিশ তাদের মামলা নিচ্ছে না।উল্টো একটা ঘটনাকে লিখিয়ে নিয়েছে।

রোববার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে আবুল কালাম,তার মেয়ে সীমা আক্তার, রাজিয়া সুলতানা মুন্নি অভিযোগ করে বলেন, তাদের পৈত্যিক ও কেনা জমির মধ্যে ১৯ শতাংশ জমি নিয়ে এলাকার মুসা নামে এক ব্যক্তির সাথে বিরোধ দেখা দিলে বিষয়টি সালিশ করার নামে আবুল কালামের কাছে প্রথমে এক লাখ টাকা দাবি করেন ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই মামুনুর রশিদ মামুন। দুই দফা সালিশের তারিখ দিয়ে তালবাহানা করতে থাকেন মামুন। ২০জানুয়ারি বুধবার সকাল ১১টায় দিদার মসজিদ এলাকায় অপর এক সালিশ বৈঠকে হঠাৎ করেই ইউপি চেয়ারম্যান মুরাদ চৌকিদার দিয়ে আবুল কালামকে ডেকে এনে এক লাখ ৬৫হাজার টাকা দেয়ার জন্য বলেন। কিসের টাকা বলতেই চেয়ারম্যান প্রকাশ্যে মারধর করেন কৃষক আবুল কালামকে। এক পর্যায়ে আবুল কালামকে চৌকিদার দিয়ে আটকে রাখেন।এ অবস্থায় জাতীয় জুরুরী সেবার ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে সাহায্য চান আবুল কালামের মেয়েরা। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ গিয়ে কৃষক আবুল কালামকে উদ্ধার করে থানায় আসেন।

এদিকে কৃষক আবুল কালামের মেয়ে সিমা আক্তারের সাথে মুঠোফোনে কথোপোকথনে চেয়ারম্যান মুরাদ তার বাবা আবুল কালামকে মারধোর করার ঘটনা স্বিকার করে বলেন,এর পর লাঠি দিয়ে পিটানো হবে।

এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান ফরাদ হোসেন মুরাদ সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি সত্য নয়। আবুল কালামের সঙ্গে এক ব্যক্তির জমি বিক্রির বায়নাপত্র হয়। ওই টাকা ফেরত দিতে তাকে ডেকে আনা হয়েছিল।তবে সন্ধ্যার পর এই প্রতিবেদক ফোন দিলে ইউপি চেয়ারম্যান এর লোক ফোন রিসিফ করে চেয়ারম্যানকে বল্লে,উত্তরে তিনি বলেন,বলে দাও আমি এখন লালমোহন প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে আলোচনা করছি।

অপরদিকে এসব বিষয় রোববার লালমোহন থানার ওসি মাকসুদুর রহমান মুরাদ মুঠো ফোনে কৃষক আবুল কালামকে পুলিশ উদ্ধার করেছে,একথা স্বিকার করে বলেন,আমি ভোলায় একটি মিটিংয়ে এসেছিলাম এখন লালমোহন যাচ্ছি।অভিযোগ শুনে ওসি মুরাদ বলেন,পুলিশ ৯৯৯ নাম্বার থেকে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি। মারধোর বিষয় বলেন,হ্যা চর থাপ্পর দিয়েছে। তবে এঘটনায় কৃষকের পরিবার কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অন্য ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। লিখিত অভিযোগ না দিলে কি করে নিব। তবে অন্যঘটনা উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

উল্লেখ,চেয়ারম্যান মুরাদ নির্বাচিত হওয়ার পর ২৯ নভেম্বর দায়িত্ব নেন। এর পরই একের পর এক সালিশের নামে চাঁদা নেয়ার অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। আলোচিদ ওই ইউনিয়নে বিভিন্ন মামলা জনিত কারনে ২৬ বছর কোন নির্বাচন হয় নি। কাঙ্খিত নির্বাচন হয় গত ২০ অক্টোবর। ওই নির্বাচনে মুরাদ নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হন।

LEAVE A REPLY