ঢাকা হতে বরিশালগামী বিলাসবহুল লঞ্চ এম ভি মানামী’র চেয়ারম্যান আবদুস সালামকে জড়িয়ে কয়েকটি অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে (বাংলার কণ্ঠস্বর , বরিশালের ডাক, সত্য সংবাদ,সময়ের বাংলা টিভি, প্রবাসী নিউজ 24, বরিশাল ক্রাইম নিউজ) যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা অসত্য, বানোয়াট ও কাল্পনিক। উক্ত সংবাদগুলো আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এসব সংবাদের মাধ্যমে একজন সম্মানিত ব্যক্তির চরিত্র হরণের অপচেষ্টা করা হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে আব্দুস সালাম পরকীয়া সম্পর্কের মাধ্যমে তার চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীকে বিয়ে করেছেন। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট উদ্দশ্যপ্রণোদিত সংবাদ। তাকে সামাজিক ও ব্যবসায়িকভাবে ঘায়েল করার অপকৌশলের অংশ হিসেবে এসব গুজব ছড়ানো হচ্ছে। প্রকৃত তথ্য হলো আব্দুস সালামের চাচতো ভাই টিপু এক হিন্দু নারীর পরকীয়ায় আসক্ত হওয়া নিয়ে টিপু ও তার স্ত্রী সাথী (সুরভী আলম )’র সাথে কলহের সৃষ্টি হয়। এতে তাদের সংসারে নেমে আসে চরম অশান্তি। স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দিলে স্ত্রীর উপর দিনের পর দিন চলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। পারিবারিক ও সামাজিকভাবে বিষয়টি সুরাহা না পেয়ে স্ত্রী সাথী তার স্বামীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। এক পর্যায়ে স্বামী টিপু ক্ষিপ্ত হয়ে ওই হিন্দু নারীকে বিয়ে করেন এবং পারিবারিক ও সামাজিক চাপে ওই নারীকে হিন্দু থেকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করেন। এমনকি তাদের অসম পরকীয়া চলা অবস্থায় হিন্দু নারী গর্ভবতী হয়ে পড়ে এবং টিপু উপায়ন্তর না পেয়ে ওই মহিলার গর্ভপাত করান বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও টিপুকে বিয়ে করার আগেও আরও দুই পুরুষের সাথে সংসার করেন ওই হিন্দু নারী। সেখানে একটি সন্তান রয়েছে। স্বামীর পরকীয়া এবং ধারাবাহিক অত্যাচার- অনাচারে অতিষ্ট স্ত্রী সাথী (সুরভী আলম) উপায়ন্তর না পেয়ে তার ভাসুর আবদুস সালামকে ঘটনাটি অবহিত করেন। সাথী ও তার সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বড় ভাই হিসেবে টিপুকে পরামর্শ দেন সাথীকে নিয়ে আবারও নতুন করে সংসার শুরু করার। আর এতেই কাল হয়ে দাড়ায় আব্দুস সালাম। বদমেজাজী টিপু সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। উল্টো আব্দুস সালামের সাথে অসদাচরণ করেন এবং সাথীকে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রস্তাব দেয়। স্বামীর পরকীয়া এবং অত্যাচার আর অনাচারের হাত থেকে বাঁচতে সাথী বিবাহ বিচ্ছেদে সম্মত হয়। টিপু-সাথী বৈবাহিক সম্পর্ক আইনিভাবে ছিন্ন হওয়ার অনেকদিন পরে চাচাতো ভাইয়ের দুই অবুঝ সন্তান ও একজন স্বামী পরিত্যাক্তা নারীর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আব্দুস সালাম সাথীকে বিয়ে করেন।
দুই সন্তান নিয়ে সাথী সুখে শান্তিতে গত এক বছর ধরে সংসার করে আসছেন। এখানে উল্লেখ থাকে যে, আব্দুস সালামের প্রথম স্ত্রী ক্যান্সারে আক্রান্ত এবং তিনি তিন সন্তান নিয়ে জাপানে বসবাস করছেন। প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নিয়েই সাথীকে দ্বিতীয় স্ত্রীর মর্যাদা দেন আব্দুস সালাম। সালাম-সাথীর বিয়েকে জড়িয়ে তালাকপ্রাপ্ত স্বামী টিপুর পরকীয়ার অভিযোগ গভীর ষড়যন্ত্র, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
স্বনামধন্য লঞ্চ সার্ভিস এম ভি মানামীর চেয়ারম্যানের পাশাপাশি আধুনিক লঞ্চটিকে নিয়েও মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে। বলা হয়েছে বিআইডব্লিউটিএর নির্দেশনা অমান্য করে লঞ্চ চালানো হচ্ছে। অথচ বিআইডব্লিউটিএর দায়িত্বশীল ব্যক্তির কোন বক্তব্য প্রকাশ করা হয়নি। সংবাদটি প্রকাশে একটি মহল সাংবাদিক ভাইদের কাছে অসত্য তথ্য দিয়েছে বলে আমরা মনে করি। অনুসন্ধানের মাধ্যমে সঠিক সংবাদ তুলে ধরার জন্য গণমাধ্যমের প্রতি বিনীত অনুরোধ করছি এবং উপরে উল্লেখিত অনলাইন সমূহে প্রকাশিত সংবাদটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিনীত : ফিরোজ আলম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক,
সালাম শিপিং লাইনস লিমিটেড