ভোলায়  ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখাসহ ১১ দফা দাবিতে  বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্বারকলিপি প্রদান

0
464

অদিল হোসেন তপু।।

সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহালসহ ১১ দফা দাবিতে ভোলায় মানববন্ধন,বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) সকালে ভোলা জেলা প্রেসক্লাব এর চত্বরে সমাবেশ করেছে  ভোলা জেলা মুক্তিযুদ্ধা মঞ্চ।এতে ৭টি উপজেলা থেকে আগত্ব কয়েক শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা এই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তারা স্বাধীনতা বিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের উত্তরসূরীদের সরকারি চাকরিত নিয়োগ বন্ধেরও দাবি জানান। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করারও দাবি জানান আন্দোলন কারীরা। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ভোলা শহর প্রদক্ষিন করে  জেলা  প্রশাসক মো: মাসুদ আলম ছিদ্দিক এর মাধ্যমে  প্রধান মন্ত্রীর  বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। এসময় জেলা প্রশাসক বলেন,আপনাদের স্বারকলিপিতে যা দাবী করা হয়েছে তা আমি দ্রুত মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাবর দ্রুত পাঠিয়প দিবো। সমাবেশে বক্তারা মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা বহাল রাখার দাবি জানান। দাবি মানা না হলে আগামী দিন সারাদেশে আরো বড় ধরনের  কর্মসূচি দেয়ার  হুঁশিয়ারিদেন আন্দলন কারীরা।

সমাবেশে ভোলা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর সাবেক কমান্ডার দোস্ত মাহামুদ এর সভাপত্বিতে প্রধান বক্তা ছিলেন  সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মো: শফিকুল ইসলাম। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন ভোলা সদর উপজেলার সাবেক কমান্ডার মো: অহিদুর রহমান,প্রবীন সাংবাদিকও মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের, বাংলার কন্ঠের সম্পাদক এম হাবিবুর রহমান,দৌলতখান উপজেলার সাবেক কমান্ডার আব্দুর রাজ্জাক শশী,লালমোহন উপজেলার সাবেক কমান্ডার মো: শাহজাহন, চরফ্যাশন উপজেলার কমান্ডার আবুল কালাম আজাদ,মুক্তিযোদ্ধা আমীর হোসেন বাচ্চু, মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ডার এর সভাপতি মো: আজিজুল ইসলাম, ভোলা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর কমান্ডার এর আহবায়ক হামিদুর রহমান হাসিব,সদস্য সচিব আদিল হোসেন তপু,যুগ্ন-আহবায়ক তানজিরুল ইসলাম, লালমোহন উপজেলার আহবায়ক আ.ন.ম শাহজাহান দুলাল, চরফ্যাশন উপজেলার আহবায়ক আরাফাত হাসান,সদস্য সচিব আব্বাস উদ্দিন দৌলতখানের আহবায়ক মো: রাশেদুজ্জামান । এছাড়াও বক্তব্য রাখেন-মো: এমরান হোসেন,সাবিরুল ইসলাম তুরাজ,মো: মাকসুদুরর রহমান,সাহিন সরোয়ার,মো: সোহেল প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন- সাংবাদিক অমিতাভ রায় অপু।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন মঞ্চের ১১ দফা দাবীগুলোর মধ্য রয়েছে- ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখা, জামাত-শিবির, যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতা বিরোধীদের সন্তান ও তাদের উত্তরসূরীদের সরকারী চাকুরিতে নিয়োগ দেয়া বন্ধ, জামাত-শিবির, যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতা বিরোধী ও তাদের প্রজন্ম যারা সরকারী চাকুরিতে বহাল আছে তাদের তালিকা করে চাকুরী  থেকে বরখাস্ত করা, যুদ্ধাপরাধী ও তাদের বংশধরদের ও জামাত-শিবির স্বাধীনতা বিরোধীদের পরিচালিত প্রতিষ্ঠানসমূহ রাষ্ট্রর অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধো, মুক্তিযাদ্ধা ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রীক নিয়ে কটাক্ষকারীদের বিরুদ্ধে পাশ্চাতর ‘হলাকাষ্টে’ এ্যাক্ট বা জনাসাইডে ডিনায়েল ল এর আদলে আইন করা রাষ্টদ্রাহী, দেশদ্রাহী হিসেবে তাদের বিচার করা,কোটা সংক্ষনের আন্দলনে ছাত্র হত্যা গুজব ছড়িয়ে যারা উসকানি দিয়েছে এবং যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়র ভিসি’র বাড়ীতে অগিসংযাগ ও ভাংচুর করেছে তাদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দেওয়া সহ আরো অনেক দাবি জানানো হয়।

LEAVE A REPLY