ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট ।। দুর্নীতির দুই মামলায় কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, জামিন আমার হক। কোনো রকমের কোনো অপরাধ আমি করিনি। বুধবার বিকালে দলের নারী সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাকে এ কথা বলেন খালেদা জিয়া।
এর আগে বিকাল সোয়া ৩টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান রুমিন ফারহানাসহ বিএনপির চার এমপি।
অপর এমপিরা হলেন বগুড়া-৪ আসনের মোশাররফ হোসেন, বগুড়া-৬ আসনে জিএম সিরাজ, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে জাহিদুর রহমান জাহিদ।
সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এই চার এমপি। খালেদা জিয়ার জামিনে মুক্তির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
যেখানে পরিবারের সদস্যরা দেখা করতে বিলম্ব হচ্ছে যেখানে আপনারা সাক্ষাৎ পাচ্ছেন, সরকার আপনাদের পাঠাল কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে নারী সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, একদমই না।
প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি সরাসরি প্যারোলের বিষয়ে ম্যাডামকে বলেছিলাম। ম্যাডাম আমাকে বলেছেন যে, জামিন আমার হক। দেশের আইন অনুযায়ী আমি এখনই জামিন লাভের যোগ্য। কোনো রকমের কোনো অপরাধ আমি করিনি। সুতরাং এখানে প্যারোলের প্রশ্ন কেন আসবে? প্যারোলের কোনো প্রশ্নই আমাদের তরফ থেকে তোলা হয়নি।
ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, আমি ব্যারিস্টার রফিকুল হকের সঙ্গে দীর্ঘকাল কাজ করেছি, আমার আইনের ওপর যে অভিজ্ঞতা এই ধরনের মামলায় এডমিশনে বেইল হয়ে যায়। সেখানে এরকম শারীরিক অবস্থায় ১৮ মাস ধরে উনি (খালেদা জিয়া) কারাগারে বন্দি আছেন। আমি স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, উনাকে পরিকল্পিতভাবে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। তার এই শারীরিক অবস্থার জন্য সরকার দায়ী। তার কোনো রকমের কোনো সুচিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না। তার অবস্থার যেটা অবনতি হয়েছে তার জন্য সম্পূর্ণরুপে সরকার দায়ী।
এর আগে মঙ্গলবার বিএসএমএমইউতে দলের চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করেন বিএনপির তিন সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ, উকিল আবদুস সাত্তার ও আমিনুল ইসলাম। তারা সেখানে ঘণ্টাখানেক অবস্থান করেন।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি আমাদের নেত্রী রাজনৈতিক বন্দি। রাজনৈতিক সদিচ্ছা সিদ্ধান্ত দরকার তার জামিনের জন্য। আপনি প্রধানমন্ত্রী আমলাতান্ত্রিক পরামর্শ না নিয়ে দয়া করে রাজনৈতিক দূরদর্শিতায় দয়া করে সিদ্ধান্ত দেন। জামিনের ব্যবস্থা করেন। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছাড়া ম্যাডামের মুক্তি হবে না।
আমরা ম্যাডামকে দেখতে আসছিলাম, আপনার (প্রধানমন্ত্রীর) কাছে আমাদের অনুরোধ ম্যাডামের জামিনের ব্যবস্থা করে দেন। খালেদা জিয়া জামিনে মুক্তি পেলে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাবেন।
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছর এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া গত দেড় বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন। গত ১ এপ্রিল তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়।