এম শাহরিয়ার জিলন, ভোলা ॥ ভোলায় শিশু বিবাহ প্রতিরোধে কাজী, ঈমাম, আনসার-ভিডিপিও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা বিষয়ক দিন ব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিসেফের সহায়তায় ও কোস্ট ট্রাস্ট এর সম্বলিত শিশু বিবাহ প্রতিরোধ কর্মসূচী (আইইসিএম) প্রকল্পের আয়োজনে বুধবার (১০ জানুয়ারী) ভোলা সদর উপজেলা পরিষদ হল রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, ভোলা সদর উপজেলার নিবার্হী কর্মকর্তা মৃধা মো: মুজাহিদুল ইসলাম।
কোস্ট ট্রাস্ট আইইসিএম প্রকল্পের প্রজেক্ট সমন্বয়কারী মো: মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও এডভোকেসি এন্ড মিডিয়া অফিসার মো: আদিল হোসেন এর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন, ইউনিসেফের এর এডুকেশন অফিসার রুবাইয়া মনজুর, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: জিহাদ হাসান, দৈনিক আজকের ভোলা ও রিপোটার্স ইউনিটের সভাপতি মো: শওকাত হোসেন, ২নং পূর্ব ইলিশা ইউপি চেয়ারম্যান হাসনাইন আহমেদ হাসান মিয়া, কোস্ট ট্রাস্ট আইসিএম প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প সমন্বয়কারী দেবাশীষ মজুমদার প্রমুখ।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, আইইসিএম প্রকল্পের উপজেলা মনিটরিং অফিসার মনিরুল ইসলাম, গেইম ফেসিলেটর সুমন, ঈমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা বেলায়েত হোসেন, কাজী প্রতিনিধি আব্দুর রহমান, সিবিসিপিসি কমিটির সভাপতি মো: আব্দুল জলিল মাস্টার, ইউপি সদস্য জাকির হোসেন মিঠু, ইউপি সদস্য ফরিদ মাতাব্বর, বাল্যবিয়ে ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সাধারন সম্পাদক এম শাহরিয়ার জিলন প্রমুখ। কর্মশালায় বক্তারা বলেন, সম্মেলিত প্রচেষ্টায় পারেই বাল্য বিবাহ মুক্ত সমাজ গড়তে। বাল্য বিয়ে কারও একার পক্ষে বন্ধ করা সম্ভব নয়। এর জন্য চাই জন সচেতনতা।
বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশের শতকরা ৬৬ শতাংশ মেয়েরা বাল্য বিয়ের কারনে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আগামী প্রজন্মকে সুস্থ ও সুন্দর ভাবে বেড়ে ওঠা এবং সুনাগরিক হিসাবে গড়ে উঠতে হলে বাল্য বিবাহ বন্ধ করতে হবে।
বাল্য বিয়ের ফলে মেয়েরা উচ্চ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বাল্য বিয়ে শুধু ব্যক্তির ক্ষতি করেনা। সমাজের রাষ্টিয় ভাবে ক্ষতি সাধন করে থাকে। এর ফলে মেয়েরা স্বাস্থ্য ও শিক্ষা বঞ্চিত হয়। তাই যার যার অবস্থান থেকে বাল্য বিয়ে বন্ধ করার জন্য আওয়াজ তুলতে হবে। বিশেষ করে ঈমাম, কাজীও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বড় ভূমিকা রাখতে হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।